কারখানা নিয়ে প্রশ্ন সিটুর

দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ‘মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন’ (এমএএমসি) খোলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিটু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০২:৪০
Share:

এমএএমসি কারখানা।

দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ‘মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন’ (এমএএমসি) খোলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিটু। বুধবার দুর্গাপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী দাবি করেন, হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমা আর এক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। অথচ, কারখানা খোলার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাছাড়া কয়েক মাস আগে কনসর্টিয়ামের অন্যতম অংশীদার দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) কনসর্টিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইছে বলে প্রধান অংশীদার ‘ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড’ (বিইএমএল)-এর তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, দাবি সিটু নেতৃত্বের।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে চালু হয় এই এমএএমসি কারখানা। মূলত খনির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরি হত এখানে। ১৯৯২ সালে কারখানাটি ‘বোর্ড ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল রিকনস্ট্রাকশন’ (বিআইএফআর)-এর অধীনে চলে যায়। ২০০১-এর ৫ অক্টোবর কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা পুনরায় চালু করার আগ্রহ দেখিয়ে ২০০৭-এর ১ জুন তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএল, ‘কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড’ (সিআইএল) এবং ডিভিসি যথাক্রমে ৪৮ শতাংশ, ২৬ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্বে কনসর্টিয়াম গড়ার জন্য ‘মৌ’ চুক্তি করে। ২০১০-র ১১ জুন কলকাতা হাইকোর্টে নিলামে সর্বোচ্চ একশো কোটি টাকা দর দিয়ে এমএএমসি-র দায়িত্ব পায় কনসর্টিয়াম। চুক্তি অনুযায়ী কারখানায় উৎপাদনের দায়িত্বে থাকার কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ বিইএমএলের। উৎপাদিত খনি যন্ত্রাংশের ক্রেতা সিআইএল। তারা যে কয়লা তুলবে তা কিনবে ডিভিসি। এ ভাবেই এমএএমসি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে কনসর্টিয়ামের। তিন সংস্থা ‘শেয়ার হোল্ডিং এগ্রিমেন্ট’-এর বিষয়ে একমত হয়েছে। কিন্তু বিইএমএল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তিন সংস্থা মিলে একটি টাস্ক ফোর্সও গড়েছে। কিন্তু কারখানা খোলার কোনও উদ্যোগ সে ভাবে নজরে আসেনি এখনও।

সিটুর অভিযোগ, তিন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব বারবার প্রকট হয়েছে। ফলে, কারখানা খোলার প্রক্রিয়া গতি পায়নি। এ দিন সিটু সভাপতি বলেন, ‘‘কারখানা খোলার বিষয়ে বিইএমএলকে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। উত্তরে বিইএমএল জানায়, ডিভিসি কনসর্টিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইছে। যার অর্থ, এমএএমসি খোলার প্রক্রিয়া দিন-দিন জটিল হয়ে যাচ্ছে।’’ অবিলম্বে এ বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন সিটু নেতারা।

Advertisement

ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন