জীর্ণ ঘরে ছাত্রের মাথায় ভাঙে চাঙড়, তাই ক্লাস গাছতলাতেই

সপ্তাহ দুয়েক আগে ক্লাস চলাকালীন মাথায় চাঙড় খসে পড়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। কলকাতায় চিকিৎসার পরে অবশেষে সুস্থ সে। তবে মেমারিরে বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট (ইউনিট ১) ভবনের সাতটি ঘর বন্ধ এখনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share:

একমনে: ভবন ভাঙা তাই স্কুলের বাইরেই চলছে পড়াশোনা। নিজস্ব চিত্র

সপ্তাহ দুয়েক আগে ক্লাস চলাকালীন মাথায় চাঙড় খসে পড়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। কলকাতায় চিকিৎসার পরে অবশেষে সুস্থ সে। তবে মেমারিরে বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট (ইউনিট ১) ভবনের সাতটি ঘর বন্ধ এখনও।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনার পরে আতঙ্কিত পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষকেরা নড়বড়ে ভবনে পড়াশোনা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বুঝে সাতটি ঘর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সোমবারও গাছতলায় ও অনুষ্ঠান মঞ্চে ক্লাস করে পড়ুয়ারা।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রশাসন একটু নজর দিলে ওই পড়ুয়া, সুমিত সাহানি জখম হতো না, আবার ক্লাসও গাছতলায় টেনে আনতে হতো না। প্রধান শিক্ষক কেশবকুমার ঘোষাল বলেন, “আমরা পুরসভা থেকে জেলাশাসক, সবার কাছে স্কুলের পুরনো ভবনের বেহাল দশা জানিয়েছি। তিন মাস চিঠি দেওয়া হলেও ভবন সংস্কার হয়নি।” স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আশিস ঘোষ দস্তিদার বলেন, “পরীক্ষার জন্য দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়া নেই। তিন মাস পরে পুরোদমে ক্লাস চালু হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।’’ ওই সাতটি ঘর সংস্কারের সঙ্গে নতুন ঘরেরও প্রয়োজন জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

১৮৯২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর স্কুল প্রতিষ্ঠার পরেই মূল গেটের বাঁ দিকে ভবনটি তৈরি হয়। সাতটি ঘরের সব ক’টিতেই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস হয়। তবে কয়েক বছর ধরে ভবনটির দশা খারাপ হতে শুরু করে। প্রতি ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। শিক্ষকেরা জানান, দোতলায় দল বেঁধে ছাত্ররা জোরে হাঁটলেই পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে। আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। কয়েক মাস আগে একটি ভূমিকম্পের পর ওই ভবনের দশা আরও খারাপ হয়ে যায় বলেও তাঁদের দাবি। তবে তার মধ্যেও ক্লাস চলছিল। কিন্তু সপ্তম শ্রেণির ‘গ’ বিভাগে ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে আর কেউ ওই ভবনে ক্লাস নিতে চাননি। কেশববাবু বলেন, “পড়ুয়া-অভিভাবকরা তো বটেই শিক্ষকেরাও পুরনো ভবনে ক্লাস করবেন না বলে দাবি জানান।”

জেলা স্কুল পরিদর্শক দফতর শীঘ্রই ওই ভবন সংস্কারের কথা জানিয়েছে। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনও জানান, তিনি নিজে ভবন সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement