Clay Artisans of Bardhaman

আকাশের মতোই মুখ ভার মৃৎশিল্পীদের

শনিবারও বিকেলের দিকে আকাশে মেঘ ছিল। রোদের তেজ ছিল না। বৃষ্টির আশঙ্কায় শহরের পালপাড়ায় নির্মিত দুর্গা প্রতিমাগুলি এ দিনও পিলিথিনে ঢেকে রাখেন মৃৎশিল্পীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০১
Share:

প্রতিমা পলিথিনে ঢাকা। বর্ধমানের শ্যামলালপাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

কখনও ঝেঁপে, কখনও ঝিরঝিরে। বিরাম নেই বৃষ্টির। আকাশ বেশির ভাগ সময়েই থাকছে মেঘে ঢাকা। এ দিকে, দুর্গাপুজোর আর এক মাসও নেই। ঠিক এই সময়ে আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় চিন্তার আকাশরে মতোই ভার হয়েছে মৃৎশিল্পীদের মুখ।

Advertisement

শনিবারও বিকেলের দিকে আকাশে মেঘ ছিল। রোদের তেজ ছিল না। বৃষ্টির আশঙ্কায় শহরের পালপাড়ায় নির্মিত দুর্গা প্রতিমাগুলি এ দিনও পিলিথিনে ঢেকে রাখেন মৃৎশিল্পীরা। আশ্বিনেও আকাশে ঘন কালো মেঘ থাকায় মূর্তি শুকোবে কবে, জানেন না তাঁরা। ঠিক সময়ে মূর্তি মণ্ডপে পৌঁছে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

শ্যামলালের মৃৎশিল্পী মহাদেব কর্মকার বলেন, ‘‘বিশ্বকর্মা পুজোর আগে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।গণেশ মূর্তি মণ্ডপে পৌঁছে দিতেপ্রচুর বেগ পেতে হয়েছিল। বিশ্বকর্মা এবং গণেশ পুজোর কাজ শেষকরে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ জোরকদমে শুরু হওয়ার আগেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নিম্নচাপের বৃষ্টি।’’

Advertisement

শহরের খালবিলমাঠের শিল্পী সমীর পাল, সেন্ট জেভিয়ার্স রোডের মঙ্গল পালের কথায়, ‘‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনেকমণ্ডপে প্রতিমা চলে যায়। তার পরে সেখানে বাকি কাজ হয়। বৃষ্টির কারণে মাটি শুকোচ্ছে না। ফলে সময়েপ্রতিমা মণ্ডপে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’

কাঞ্চননগরের শিল্পী বলরামপাল, ছোটনীলপুরের নিখিল পালের কথায়, ‘‘সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এখন প্রকৃতিও যদি বিরূপ হয়, তবে আর কিছু করার থাকে
না।’’ শিল্পীরা মনে করছেন, দু’য়েক দিনের মধ্যে কড়া রোদ না উঠলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কবে পলিথিনের আস্তরণ সরিয়ে প্রতিমা বার করা যাবে, জানা নেই তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন