রাত পাহারা দিতে পুলিশের প্রস্তাব, না ক্লাব সদস্যদের

কখনও তালা ভেঙে বাড়িতে, স্কুলে চুরি। কখনও বা মোটরবাইক ছিনতাই। গত কয়েক মাসে এমন বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম বারবার ঘটছে উখড়ায়। এই পরিস্থিতিতে নজরদারি জোরদার করতে স্থানীয় ক্লাবগুলির কাছে পাহারার জন্য আবেদন জানালেন উখড়া ফাঁড়ির কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উখড়া শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০১:২২
Share:

কখনও তালা ভেঙে বাড়িতে, স্কুলে চুরি। কখনও বা মোটরবাইক ছিনতাই। গত কয়েক মাসে এমন বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম বারবার ঘটছে উখড়ায়। এই পরিস্থিতিতে নজরদারি জোরদার করতে স্থানীয় ক্লাবগুলির কাছে পাহারার জন্য আবেদন জানালেন উখড়া ফাঁড়ির কর্তারা। তবে ক্লাব কর্তাদের দাবি, ‘নিরাপত্তার কারণে’ এই কাজ তাঁরা করতে পারবেন না।

Advertisement

ক্লাব কর্তারা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে উখড়ার সব ক্লাবকে বৈঠক ডাকেন ফাঁড়ির কর্তারা। তাতে যোগ দেয় তিনটি ক্লাবের ছ’জন প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, বৈঠকে ফাঁড়ির কর্তারা জানান, পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে কাজ চালাতে হয়। ক্লাবের প্রতিনিধিরা জানান, তাঁদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, চুরি-সহ অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে তাঁরা যেন পাহারার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এর পরেই ক্লাবের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত জানান।

পুলিশ জানায়, গত বছর ২৮ অক্টোবর রাতে সারদাপল্লির এক চিকিৎসক ও চনচনি কোলিয়ারি আবাসনের এক বাসিন্দার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ২ নভেম্বর উখড়া-বাঁকোলা রোডে ব্যবসায়ীর থেকে মোটরবাইক চুরি, ৮ নভেম্বর কেবি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬ ফেব্রুয়ারি আনন্দ মোড়, ১৭ ফেব্রুয়ারি সুভাষ কলোনি ও ১ মার্চ শুকোপাড়ায় বাড়িতে তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এ যাবৎ কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির হাল ফেরাতে ক্লাবগুলির সাহায্য চাওয়া হয় বলে প্রশাসনের একটি অংশের দাবি।

Advertisement

বৈঠকে নেতাজি এসসি-র তরফে যোগ দিয়েছিলেন অমিত চুনারি। পুলিশের প্রস্তাব সম্পর্কে তাঁর দাবি, ‘‘গভীর রাতে পাহারা দেওয়ার সময়ে কী ভাবে দুষ্কৃতীর মোকাবিলা করা হবে, তা জানতে চেয়েছি আমরা। তা ছাড়া কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়লে তাকে বাসিন্দাদের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচাব, তাও জানতে চাওয়া হয়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা কেউই প্রতিশ্রুতি দিতে পারিনি।’’ ফাঁড়ির ওসি-র দাবি, ‘‘গ্রাম রক্ষী বাহিনী তৈরির জন্য ডেকেছিলাম। বিশ্বেশ্বরী, চনচনি, কড়িয়াপাড়ায় টহল চলছে।’’

এসিপি (পূর্ব) নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও থানা বা ফাঁড়ি এমন বিষয়ে বৈঠক ডাকতে পারে না। কী ঘটেছিল খবর নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন