পূর্ব ও পশ্চিম, আজ বর্ধমান ভাগ মুখ্যমন্ত্রীর

২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে জানিয়েছিলেন, সরকারে এলে পৃথক জেলা গড়বেন বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে। ছ’বছর পরে কথা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

ব্যস্ততা: আসানসোলে সভাস্থলে চলছে পুলিশি নজরদারি।

২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে জানিয়েছিলেন, সরকারে এলে পৃথক জেলা গড়বেন বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে। ছ’বছর পরে কথা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার আসানসোলের পুলিশলাইন মাঠে প্রশাসনিক সভায় জেলা ভাগের কথা ঘোষণা করার কথা তাঁর।

Advertisement

বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ, কালনা এবং কাটোয়া— কৃষির উপরে নির্ভরশীল এই চার মহকুমাকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান। খনি ও শিল্পে সমৃদ্ধ আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমা নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান। এই উপলক্ষে কয়েকদিন ধরেই সাজো-সাজো রব শিল্পাঞ্চল জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোথাও তৃণমূলের তরফে, আবার কোথাও পুরসভার তরফে ফ্লেক্স, ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। আলোয় সেজেছে বিভিন্ন দফতর।

বৃহস্পতিবার সভাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শাসকদলের স্থানীয় নেতারা জানান, নতুন জেলা ঘোষণার সভায় থাকতে উৎসাহী বহু মানুষ। তাই গাড়ি ভাড়া করে তাঁদের সভাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

এরই মধ্যে নতুন জেলার নামে ‘আসানসোল’ না রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শহরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। আবার দুর্গাপুর মহকুমা থেকে গলসি ১ ব্লককে পূর্ব বর্ধমানে যোগ করায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুরের এলাকা ছেঁটে গুরুত্ব কমানো হল। প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে মিছিল-বিক্ষোভ করছে সিপিএম।

তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য বলেন, ‘‘সরকার সব দিক বিবেচনা করেই বর্ধমান জেলাকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহু দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলায় বাসিন্দারা খুশি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement