Modi at Bardhaman

কয়লা শিল্প নিয়েকথা নেই, হতাশা

সিপিআই প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস চক্রবর্তী জানান, রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চল এ দেশে প্রাচীনতম।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:০৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কয়লা শিল্প নিয়ে কোনও কথা শোনা গেল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। খনি বন্ধ করা বা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে নানা শ্রমিক সংগঠন যে আন্দোলন করছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে বিষয়ে আশ্বাসবাণী আশা করেছিলেন নেতারা। কিন্তু মোদী তেমন কোনও বক্তব্য না রাখায় হতাশ তাঁরা।

সিপিআই প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস চক্রবর্তী জানান, রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চল এ দেশে প্রাচীনতম। তাঁর দাবি, ‘‘এই কয়লাঞ্চল লাগোয়া দুর্গাপুর শিল্পশহরে এসে কয়লা শিল্প নিয়ে কোনও কথা না বলে আদতে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া যে এগোবে, সেই বার্তায় সিলমোহর দিয়ে গেলেন মোদী। তাঁর দলের যা নীতি, সেখানে তিনি হয়তো এ বিষয়ে অসহায়।’’

সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি প্রবীর মণ্ডল জানান, দুর্গাপুরে খনির বিভিন্ন যন্ত্র উৎপাদনের কারখানা এমএ‌এমসি দু’দশক আগে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার বন্ধ করেছে। তাঁরও অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি বিনিয়োগ নিয়েই চিন্তিত থাকায়, ওই কারখানার কথা তাঁর মনে পড়েনি। স্বাভাবিক ভাবে, কয়লাখনির কথা ভুলে যাওয়া বা নীতিগত ভাবে এড়িয়ে যাওয়াটা হয়তো বাধ্যতামূলক ছিল।’’

আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক জানান, চিনাকুড়ি থেকে পাণ্ডবেশ্বরের তিলাবনি পর্যন্ত চারটি খনি বেসরকারি সংস্থা চালাচ্ছে।‌ চালু‌ খনিগুলিও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চলছে, দাবি তাঁর।‌ তাঁর কথায়, ‘‘এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে বলার কিছু থাকতে পারে না।‌ তাই বলেননি।’’ আইএনটিইউসি‌ নেতা তরুণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সমস্ত শ্রমিক সংগঠন বেসরকারিকরণ বন্ধ করে কয়লা শিল্প রক্ষা করার দাবিতে লড়ছে। ইতিমধ্যে দশটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ধর্মঘটে অন্যতম দাবি ছিল, কয়লা শিল্পে বেসরকারিকরণ বন্ধ।‌ সেই আন্দোলন চলবে।

আরএসএস প্রভাবিত বিএমএস নেতা জয়চাঁদ চৌবে জানান, ২৩জুলাই থেকে তাঁরা দেশ জুড়ে খনি-সহ সব রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বেসরকারি হাত থেকে বাঁচানোর দাবিতে আন্দোলন জোরদার করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন