কয়েন জমছে হাসপাতালেও

এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে পাঁচশো থেকে ছ’শো রোগী আসেন প্রতিদিন। সেখানে দেখাতে একটি দু’টাকার টিকিট কাটতে হয় রোগীকে। হাসপাতালের দাবি, বেশির ভাগ রোগীই এক, দুই বা পাঁচ টাকার কয়েন দেন। কিছুদিন পরপর টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয় হাসপাতাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

হাটে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতারা তো বটেই, কয়েন সমস্যায় জেরবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল।

Advertisement

এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে পাঁচশো থেকে ছ’শো রোগী আসেন প্রতিদিন। সেখানে দেখাতে একটি দু’টাকার টিকিট কাটতে হয় রোগীকে। হাসপাতালের দাবি, বেশির ভাগ রোগীই এক, দুই বা পাঁচ টাকার কয়েন দেন। কিছুদিন পরপর টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয় হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্প্রতি ব্যাঙ্কে কয়েন জমা দিতে গেলে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, এক টাকার কয়েন জমা নেওয়া হবে না। প্রতিদিন সর্বোচ্চ একশোটা করে কয়েন জমা নেওয়ার কথাও বলে। এরপরেই হাসপাতালে খুচরোর পাহাড় জমেছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, ‘‘প্রতিদিন আমাদের পক্ষে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে কয়েন জমা দেওয়া সম্ভব নয়। আবার ব্যাঙ্ক না নিলেও আমাদের এক টাকার কয়েন নিতেই হচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। ফলে মুশকিল বাড়ছেই।’’

হাসপাতালের আরও দাবি, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার কার্ড দেখিয়ে যে সমস্ত রোগী ভর্তি হন, তাঁদের বাড়ি যাওয়ার সময় নগদ তিনশো টাকা করে দেওয়া হয়। এত দিন ওই টাকা কয়েনে দেওয়া হলেও বর্তমানে রোগী এবং তাঁর আত্মীয়রা কয়েন নিতে চাইছেন না। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কয়েন নিয়ে আমরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছি। জমা কয়েন নিয়ে কি করব তাই বুঝে উঠতে পারছি না।’’

Advertisement

মহকুমা প্রশাসনের দাবি, আজ, মঙ্গলবার কয়েন সমস্যা নিয়ে পুরপ্রধান, পুলিশ এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিক নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে বলে মহকুমাশাসকের আশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন