শহিদের মূর্তি বসানো নিয়ে গোষ্ঠী-বিবাদ

বছর কয়েক আগে জামতাড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে মিহিজামের ডাকবাংলো এলাকায় একটি শহিদ স্মারকস্থল তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০২:২৩
Share:

গোলমালের সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

শহিদ সেনা অফিসারের মূর্তি বসানো নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদে তপ্ত হল চিত্তরঞ্জন লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের ডাকবাংলো এলাকা। দু’পক্ষের কয়েকজন জখম, বেশ কিছুক্ষণ মিহিজাম রোড অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। দু’পক্ষই মিহিজাম থানায় অভিযোগ করেছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে জামতাড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে মিহিজামের ডাকবাংলো এলাকায় একটি শহিদ স্মারকস্থল তৈরি হয়। ঠিক হয়, সেখানে মিহিজাম এলাকার তিন শহিদ— অসমে নিহত সিআরপিএফ অফিসার পরশুরাম যাদব, জামতাড়ায় নিহত ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিএসপি প্রমোদ কুমার ও কাশ্মীরে নিহত সেনা অফিসার প্রমোদ কুমারের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের গো়ড়ার দিকে ওই শহিদ স্মারকস্থলে ডিএসপি প্রমোদ কুমারের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর পরিজনেরা। এর পরে সেখানে পরশুরাম যাদবের পরিজনেরা মূর্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন। তা জানার পরেই বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, ডিএসপি প্রমোদ কুমারের পরিবার সদস্যেরা সেখানে পরশুরাম যাদবের মূর্তি বসাতে দিতে চান না। প্রায় সাত মাস ধরে এ নিয়ে বিবাদ চলছিল। এর মাঝেই সোমবার গভীর রাতে পরশুরামের পরিজনেরা সেখানে মূর্তি বসান।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি দেখার পরই প্রমোদ কুমারের ঘনিষ্ঠ লোকজন স্মারকস্থলে হামলা চালান বলে অভিযোগ। পরশুরামের মূর্তি বেদী থেকে উপড়ে নেওয়া হয়। তা জানার পরেই রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরশুরামের পরিজনেরা। তাঁদের তরফে পরমানন্দ যাদবের অভিযোগ, ‘‘শহিদের মূর্তী বসাতে আমাদের অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ দু’পক্ষের হাতাহাতিও হয়। শুরু হয় পথ অবরোধ।

খবর পেয়ে বড় বাহিনী নিয়ে পৌঁছন মিহিজামের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিএন সিংহ। আসেন মহকুমাশাসক নবীন কুমারও। তিনি পরশুরামের মূর্তি পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেন। নবীনবাবু বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’ দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা আধিকারিকদের কাছে ওই স্মারকস্থলে প্রশাসনের উদ্যোগে তিন শহিদের মূর্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন