প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নালিশ, ঘেরাও

পড়ুয়াদের সঙ্গে অভব্য আচরণ থেকে উন্নয়নমূলক নানা কাজে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার বুদবুদের কোটা-চণ্ডীপুর হাইস্কুলে এ নিয়ে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

স্কুলে জমায়েত এলাকাবাসীর। নিজস্ব চিত্র।

পড়ুয়াদের সঙ্গে অভব্য আচরণ থেকে উন্নয়নমূলক নানা কাজে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার বুদবুদের কোটা-চণ্ডীপুর হাইস্কুলে এ নিয়ে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিভাবকেরা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। প্রধান শিক্ষক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রধান শিক্ষক চন্দন কর ও এক শিক্ষাকর্মী মারধর করেন ও স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিভাবকেরা স্কুলে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের তহবিলে দুর্নীতি হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বারবার বলা হলেও তিনি শোনেননি। শনিবার অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদের বৈঠক ছিল। সেখানেও এই প্রসঙ্গ ওঠে। কয়েক জন পড়ুয়া সাইকেল স্ট্যান্ডের তহবিলে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রটিও বৈঠকে ছিল। তাই এ দিন তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

বিক্ষোভে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখেন। স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রাম কর্মকার, মহম্মদ জোহাররা অভিযোগ করেন, স্কুলে ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরির তহবিল, সাইকেল স্ট্যান্ডের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। বছর পাঁচেক ধরেই কোনও কাজের হিসেব দেওয়া হয় না। ভোলানাথ নায়েক নামে এক অভিভাবকের আবার অভিযোগ, ‘‘ছাত্রীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক অশালীন আচরণ করেন। পরপর কয়েকটি বৈঠকে এ সব অভিযোগ জানানো হলেও প্রধান শিক্ষক কর্ণপাত করেননি।’’ স্কুলের শিক্ষকদের একাংশও অভিযোগ করেন, মতের অমিল হলে প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদেরও নানা ভাবে হেনস্থা করেন।

Advertisement

এ দিন বিক্ষোভ বড় আকার নেওয়ায় পুলিশে খবর দেন প্রধান শিক্ষক চন্দনবাবু। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে চন্দনবাবু দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। উঁচু ক্লাসের কিছু পড়ুয়া ক্লাস না করে বাইরে গল্প করায় বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছিল। তার পরেই লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানায়, অভিভাবকদের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন