উপযুক্ত প্রার্থীকে টপকে বেআইনি ভাবে উন্নত আবাসন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তালিকায় পিছনে থাকা আবেদনকারীকে— এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন এডিডিএ-তে। কিন্তু সেখানে এক কর্মী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেন এমএএমসি-র প্রাক্তন শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপনকুমার বিশ্বাস। অভিযুক্ত কর্মী সুমনেশ রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশের কাছে স্বপনবাবু অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার তিনি এমএএমসি টাউনশিপ আবাসিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এডিডিএ-তে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বর্তমান আবাসনের বদলে উন্নত মানের আবাসনের আবেদন করা যোগ্য প্রার্থীদের টপকে পিছনে থাকা এক জনের নামে আবাসন বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বপনবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রতিবাদ করায় সুমনেশবাবু দাবি করেন, যা করেছেন ঠিক করেছেন। অসীমবাবু কিছু বলতে যেতেই সুমনেশবাবু আরও কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে আমাদের দু’জনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’’ তিনি জানান, অসীমবাবু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সুমনেশবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি যে স্তরের কর্মী তাতে আমার কাউকে আবাসন বরাদ্দ করার ক্ষমতা নেই। কেন এমন অভিযোগ আনা হয়েছে জানি না।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, অসীমবাবুই অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এডিডিএ-র তরফে মঙ্গলবার অভিযোগও করা হয়েছে থানায়। যদিও তা অস্বীকার করে অসীমবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সুমনেশবাবুর নেতৃত্বে বেআইনি ভাবে অর্থের বিনিময়ে আবাসন বরাদ্দ করার চক্র কাজ করছে এডিডিএ-তে।’’ এ়ডিডিএ কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও চক্রের কথা মানতে চাননি।