চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মাঠে ধুন্ধুমার

শুক্রবার বর্ধমান সদর প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগে, রাধারানি স্টেডিয়ামে শিবাজি সঙ্ঘ ২-১ গোলে তরুণ সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। অভিযোগ, হেরে যাওয়ার পরেই নিজেকে বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে রেফারিদের দিকে তেড়ে যান তরুণ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সনৎ বক্সী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০০:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

রেফারি ও লাইন্সম্যানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধুন্ধুমার বাধল জেলা ক্রীড়া সংস্থার দফতরে।

Advertisement

শুক্রবার বর্ধমান সদর প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগে, রাধারানি স্টেডিয়ামে শিবাজি সঙ্ঘ ২-১ গোলে তরুণ সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। অভিযোগ, হেরে যাওয়ার পরেই নিজেকে বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে রেফারিদের দিকে তেড়ে যান তরুণ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সনৎ বক্সী। দলবল নিয়ে প্রথমে বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার দফতর, পরে মাঠের ভিতর ঢুকে রেফারিদের ঘেরাও করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। প্রায় দু’ঘন্টার পর পুলিশ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা গিয়ে রেফারি ও লাইন্সম্যানদের মাঠের বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় ‘রেফারি ও লাইন্সম্যান চক্রান্ত করে হারিয়ে দিচ্ছে’ অভিযোগ তুলে তরুণ স্পোর্টিং ক্লাব আর নামবে না বলে চিঠি দিয়ে জানান ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সনৎ বক্সী।

সনৎবাবুর অভিযোগ, “চারটে খেলাতেই আমাদের বিরুদ্ধ দলকে জেতানোর পণ করেছিল রেফারিরা। কখনও অন্যায় ভাবে পেনাল্টি দিয়ে, কখনও অফসাইড থেকে গোলকেও বৈধতা দিয়ে আমাদেরকে হারিয়েছে। ন্যায্য গোল বাতিল করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে।”

Advertisement

যদিও এই খেলার রেফারি, কলকাতার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের সাফ কথা, “নিয়ম মেনেই খেলানো হয়েছে। কোনও দলের প্রতি অন্যায় করা হয়নি।” এ দিন তরুণ সঙ্ঘ প্রথমে উদয় বেসরার গোলে এগিয়ে ছিল। পরে কার্তিক কিস্কু ও যুধিষ্ঠির হাঁসদার গোলে জিতে যায় শিবাজি। অভিযোগ, খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই কাউন্সিলর তথা ক্লাবের সম্পাদক সনৎ বক্সীর নেতৃত্বে রেফারিদের ঘেরাও করে রাখা হয়।

জেলা রেফারিস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিবু রুদ্রর দাবি, “তরুণ সঙ্ঘ প্রতিটি খেলাতেই গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে। এ দিনও গোলমালের আশঙ্কায় বর্ধমান থানাকে চিঠি দেওয়া হয়। সিভিক ভলেন্টিয়াররা খেলার শেষে চলে যায়। তারপরেই কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে সনৎবাবু দলবল নিয়ে মাঠের ভিতর ঢুকে রেফারিদের আটকে রাখে। জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ঘটনাটি জানানো হবে।”

বৃহস্পতিবার প্রথম ডিভিশনে জাগরণী ও বাবুরবাগের মধ্যে খেলাটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলায় দুবরাজদিঘি ২-০ গোলে দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। তৃতীয় ডিভিশনের খেলায় সুব্রত স্মৃতি সঙ্ঘ ২-০ গোলে পারবীরহাটা নীতু স্মৃতি সঙ্ঘকে হারায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন