বিক্ষোভ: নার্সিংহোমের সামনে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতিতে ফের সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের দেখা না মেলাতেই সদ্যোজাত শিশুপুত্রের মৃত্যু হয়েছে।
অন্ডালের বাঁকোলা এরিয়ার বাসিন্দা অমিত কুমার জানান, গত ২৪ এপ্রিল ওই এনএসবি রোড লাগোয়া নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁর স্ত্রী পূজাদেবীকে। চিকিৎসক সমেরেন্দ্রকুমার বসুর তত্ত্বাবধানে ২৫ এপ্রিল একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তার পরে ২৬ এপ্রিল ভোর বেলা ওই সদ্যোজাতকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন অমিতবাবুর স্ত্রী। বুধবার রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে অমিতবাবু বলেন, ‘‘রাতে কোনও চিকিৎসক, নার্সের দেখা মেলেনি। তাঁদের গাফলতিতেই ছেলেটা মারা গেল।’’
যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক সমেরেন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘রাতে নার্সকে না ডেকে দুধ খাওয়াতে গিয়েছিলেন ওই শিশুর মা। কোনও ভাবে শ্বাসনালীতে দুধ আটকে গিয়ে ওই শিশুটি মারা যেতে পারে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ নার্সিংহোমের তরফে ঋতেশ অগ্রবালেরও দাবি, ‘‘নার্সের নির্দেশ না মানাতেই এমনটা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।’’ নার্সিংহোম কর্তা ও চিকিৎসকের ওই দাবির পরে অমিতবাবুর ফের প্রশ্ন, ‘‘যদি ওনাদের বক্তব্যই ঠিক হয়। তবে তা সেই সময়ে কোনও চিকিৎসক বা নার্সের নজরে পড়েনি বিষয়টি?’’
ঘটনার খবর চাউর হতেই সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যরা এবং বাঁকোলার কয়েক জন নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে।
পুলিশ জানায়, দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’’