নির্দেশ সত্ত্বেও হস্তান্তর হয়নি জল-প্রকল্পের

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি) গার্গী নাহা বলেন, “চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন থেকে কর্মীদের বেতন ও নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে গ্রাম পঞ্চায়েত।” গত বছর সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে থাকা ওই প্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন দফতরের সচিব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্দেশ এসেছিল প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু তার পরেও এ পর্যন্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের যে প্রকল্পগুলি রয়েছে, সেগুলির বেশির ভাগই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে পঞ্চায়েতে হস্তান্তর হয়নি। দফতরের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের গড়িমসির জন্যই এমনটা হয়েছে।

Advertisement

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি) গার্গী নাহা বলেন, “চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন থেকে কর্মীদের বেতন ও নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে গ্রাম পঞ্চায়েত।” গত বছর সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে থাকা ওই প্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন দফতরের সচিব। নির্দেশ অনুযায়ী, হস্তান্তরের পরে পঞ্চায়েত স্তরে গঠিত গ্রামীণ জল ও স্বাস্থ্যবিধান কমিটি রক্ষণাবেক্ষণ থেকে খরচের হিসেবও সামলাবে। ওই কমিটিই পানীয় জলের গুণগত মান পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট দেবে।

এই নির্দেশের পরে জেলা পরিষদ ও দফতরের তরফে বেশ কয়েক বার নানা পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। কিন্তু তার পরেও এ পর্যন্ত ১৮০টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ২০টি প্রকল্পই পঞ্চায়েতকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কিন্তু কেন এমনটা? বিভিন্ন পঞ্চায়েতের কর্তারা জানান, প্রকল্পের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো পরিকাঠামো জেলার বেশির ভাগ পঞ্চায়েতেরই নেই। জেলায় ১৬টি প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। সেই সব প্রকল্পেও কর্মীদের নিয়মিত বেতন মেলে না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েতে হস্তান্তর হওয়া প্রকল্পগুলিতেও বেতন মিলছে না বলে কর্মীদের একাংশের অভিযোগ।

যদিও এ বার হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় গতি আনতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। ঠিক হয়েছে, জেলার প্রতিটি মহকুমা ধরে পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক করে এই গোটা প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা জানানো হবে। গার্গীদেবী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের মধ্যে নানা বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সে জন্য তাঁরা প্রকল্পের দায়িত্বে নিতে এগিয়ে আসছেন না। বৈঠক করে পঞ্চায়েত কর্তাদের সেই দায়িত্ব নিতে বলব।” জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বর্ধমানের নির্বাহী আধিকারিক সোমনাথ কুণ্ডুর আশা, “পুজোর আগেই বাকি প্রকল্পগুলি হস্তান্তর হয়ে যাবে বলে মনে করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন