পাথুরে স্ট্যান্ড, হাঁটু জল নিয়ে ক্ষোভ গুসকরায়

দিনে একশোরও বেশি বাস চলাচল করে দু’দশকের পুরনো এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে। কিন্তু চলাচল করতে গিয়েই বিপত্তি। কখনও বা রাস্তায় বেরিয়ে থাকা পাথরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে বাসের যন্ত্রাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৬
Share:

বেহাল: অর্ধসমাপ্ত পড়ে হয়েছে বাসস্ট্যান্ড। নিজস্ব চিত্র

দিনে একশোরও বেশি বাস চলাচল করে দু’দশকের পুরনো এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে। কিন্তু চলাচল করতে গিয়েই বিপত্তি। কখনও বা রাস্তায় বেরিয়ে থাকা পাথরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে বাসের যন্ত্রাংশ। কখনও বা অল্প বৃষ্টি হলেই হাঁটু জল জমছে স্ট্যান্ডে। যাত্রী থেকে চালক, সকলেরই অভিযোগ, এত দিনেও গুসকরা বাসস্ট্যান্ডটির পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ভোগান্তির যে শেষ কবে!

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দশক আগে স্কুল মোড়ের কাছে স্ট্যান্ডটি তৈরির সময়ে নামমাত্র কিছু কাজ করে পুরসভা। তার পরে থেকে বেশ কয়েকবার নতুন পুরবোর্ড তৈরি হলেও স্ট্যান্ডের অবস্থার বদল হয়নি। অথচ এই স্ট্যান্ড দিয়ে দিনে একশোরও বেশি বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। রাতেও থাকে প্রায় ২৫-৩০টি বাস। বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার যাত্রী স্ট্যান্ডটি ব্যবহার করেন।

অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে শৌচাগার, প্রতীক্ষালয়ের পরিকাঠামো নেই। প্রশ্ন রয়েছে নিরাপত্তা নিয়েও। অভিযোগ, স্ট্যান্ডে মাত্র দু’টি নলকূপ রয়েছে। পরিবহণ কর্মী লক্ষ্মণ সিংহের অভিযোগ, ‘‘নলকূপগুলিও মাঝেসাঝে খারাপ হয়ে যায়।’’ বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক সাগর রায়ের অভিযোগ, ‘‘স্ট্যান্ডে পরিকাঠামো তৈরির জন্য বহু বার পুরসভা ও বিধায়ককে বলা হয়েছে। লাভ হয়নি।’’

Advertisement

বাসস্ট্যান্ডের ‘ঘোষণা অফিস’টিও বেশ কয়েক বছর ধরে বেহাল বলে জানা গিয়েছে। তার পিছনের নিকাশি নালাটির অবস্থাও বিপজ্জনক বলে যাত্রীদের একাংশ জানান। বর্ধমান জেলা বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে শ্যামল ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘সীমানা পাঁচিল না থাকায় রাতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেও ভয় পান অনেক যাত্রী।’’

যদিও গুসকরার পুরসভার পূর্ত দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বিধায়কের মাধ্যমে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে স্ট্যান্ডের পরিকাঠামো তৈরির জন্য বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।’’ পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের দাবি, ‘‘স্ট্যান্ডে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি শৌচাগারও রয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন