জমির দাম না মিটিয়েই রাস্তা তৈরির নালিশ

জমির দাম না মিটিয়েই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠল পাণ্ডবেশ্বরে। গোবিন্দপুর গ্রামে পাণ্ডবেশ্বর-গৌরবাজার রাস্তায় পুলিশি পাহারায় ওই কাজ চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাণ্ডবেশ্বর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫০
Share:

এই সম্প্রসারণ প্রকল্প নিয়েই ক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

জমির দাম না মিটিয়েই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠল পাণ্ডবেশ্বরে। গোবিন্দপুর গ্রামে পাণ্ডবেশ্বর-গৌরবাজার রাস্তায় পুলিশি পাহারায় ওই কাজ চলছে। প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার এক বাসিন্দাকে পুলিশ আটক করে। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের অবশ্য আশ্বাস, “জমির মালিকেরা নথি দেখালেই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আট ফুট চওড়া ওই রাস্তা পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন মোড় থেকে গৌরবাজার পর্যন্ত সাড়ে ছ’কিলোমিটার অংশ দু’পাশে পাঁচ ফুট করে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়েক মাস আগে সেই কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। কিন্তু পুজোর আগে থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার গোবিন্দপুর মোড় থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছেন সেখানকার জনা আঠেরো বাসিন্দা।

ওই এলাকার বাসিন্দা বিবেকরঞ্জন গড়াই, বলরাম গড়াই, বিশ্বনাথ ঘোষেরা দাবি করেন, বছর তিরিশ আগে গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁকরতলা পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য তাঁদের পূর্বপরুষেরা স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার পরে মূল রাস্তাটি তৈরি হয়। তাঁদের বক্তব্য, “এখন উন্নয়নের স্বার্থে জমি দিলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পান সবাই। আমরা কেন পাব না? জমির টাকা মিটিয়ে কাজ করা হোক।’’ তাঁদের দাবি, এ জন্য ৫ ডিসেম্বর বিডিও থেকে পূর্ত দফতর, প্রশাসনের নানা স্তরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জমির নথি-সহ আবেদনপত্র জমা দেন। তার পরেও কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

এক বাসিন্দা নয়ন ঘোষ অভিযোগ করেন, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর বাড়ির একেবারে দরজা ঘেঁষে রাস্তার কাজ শুরু হলে তিনি ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধির কাছে প্রতিবাদ জানান। সে জন্য পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখে।

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা নরেন চক্রবতী বলেন, “এই রাস্তার পাশে গোবিন্দপুর, কোন্দা ও নতুনডাঙায় জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। জমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু কাজে বাধা দিলে প্রশাসন বরদাস্ত করবে না।’’ স্থানীয় বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘বিধানসভায় বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রস্তাব জমা দেব।’’

মহকুমাশাসক শঙ্খবাবু বলেন, “কাজ শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জনিয়েছিলাম, বিধি মেনে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। পূর্ত দফতর জানায়, জমির মালিকানা দাবি করলেও অনেকেই নথিপত্র দিতে পারছেন না। বাসিন্দারা আমার সঙ্গে বুধবার দেখা করেন। আমি ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বিডিও কৌশিক সমাদ্দার জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন