BDO

Khandaghosh: কাজে অসুবিধার দাবিতে বিডিও-র ‘পোস্টে’ বিতর্ক

রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘কারা বিডিওকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন, তা স্পষ্ট করা উচিত। তা না হলে বিভ্রান্তি বাড়বে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ০৬:১২
Share:

এই পোস্টে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।

কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নীচ মানসিকতার জন্য কাজে অসুবিধা হচ্ছে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন খণ্ডঘোষের বিডিও সত্যজিৎ কুমার। কিছুক্ষণ পরে তা মুছে দেন তিনি। ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি (আনন্দবাজার পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি)। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ব্লকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মাঝে পড়েই চাপে ভুগছেন বিডিও। তৃণমূলের যদিও দাবি, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। বিডিও নিজেও বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

ওই পোস্টে বিডিও (খণ্ডঘোষ) সত্যজিৎ কুমার ‘কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, খণ্ডঘোষে তৃণমূল আড়াআড়ি ভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একদিকে বিধায়ক (খণ্ডঘোষ) নবীনচন্দ্র বাগের শিবির, অন্য দিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের শিবির। ব্লক দফতরের রাশ রয়েছে সভাপতির দিকেই। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য, খণ্ডঘোষের বাসিন্দা বিনোদ ঘোষের দাবি, ‘‘তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চাপে বিডিও দিশেহারা। সম্ভবত সেখান থেকেই তিনি হতাশগ্রস্থ হয়ে ওই পোস্টটি করে ফেলেছিলেন।’’ বিজেপির জেলা সংগঠনের সহ-সভাপতি (বর্ধমান সদর) সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিডিওকে সরানোর জন্য তৃণমূলের একপক্ষ উঠে পড়ে লেগেছেন। মিথ্যা অভিযোগও করেছেন। যাঁদের জন্যে এত কিছু করলাম, তাঁরাই বদনাম করছেন, এই মানসিকতা থেকেই বিডিও সম্ভবত আঘাত পেয়েছেন।’’

তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, তফসিলি জাতি সংক্রান্ত শংসাপত্র বিলির অনুষ্ঠানে ও শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতে সেতু উদ্বোধনে বিডিও এবং বিধায়ককে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তাতে অন্যপক্ষের ‘রাগ’ হয়। বিডিওকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন কয়েকজন। বিধায়ক বলেন, ‘‘বিডিওকে রাজনৈতিক ভাবে অপদস্থ করার বিরুদ্ধে সরব হয়ে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দল তদন্ত করছে। বিষয়টি সত্যি হলে দল ব্যবস্থা নেবে বলেই মনে করি।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের দাবি, ‘‘এই বিডিও আসার পরে ব্লকের অনেক সুনাম হয়েছে। কী উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করা হল, আবার কেন তুলে নেওয়া হয়েছে, সবটাই অজানা।’’

Advertisement

রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘কারা বিডিওকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন, তা স্পষ্ট করা উচিত। তা না হলে বিভ্রান্তি বাড়বে।’’ প্রশাসনের কোনও কর্তা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন