Coronavirus

রানিগঞ্জে সংক্রমণ কমার দাবি

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রানিগঞ্জে পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৪০২ জন সুস্থ হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে করোনা সংক্রমণ তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল রানিগঞ্জে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে প্রথম রানিগঞ্জের পঞ্চায়েত এলাকায় সংক্রমণের হদিস মেলে। তার পরে তা পুর-এলাকাতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন সেই হার কমে গিয়েছে বলে দাবি রানিগঞ্জের আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ অগস্ট পর্যন্ত রানিগঞ্জে সংক্রমণের হার ছিল ৮.২৫ শতাংশের কাছাকাছি। সেপ্টেম্বর তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে তা কমে হয় ২.৪৮ শতাংশ। অক্টোবর মাসের ১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত সেই সংখ্যা ১.৫৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “মানুষকে সচেতন করতে আমরা সফল হয়েছি। এ ছাড়া, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়ায় রানিগঞ্জে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হয়েছে।’’ স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রানিগঞ্জে পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৪০২ জন সুস্থ হয়েছেন। গত অগস্ট মাস পর্যন্ত সুস্থতার হার ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৯১.৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংক্রমণ কমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিএমওএইচ মনোজ শর্মা জানান, প্রথম দিকে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার প্রবণতা ছিল না। প্রচার ও লকডাউন করে তার ফল মিলেছে। এ ছাড়া, প্রথম দিকে কম পরীক্ষা হচ্ছিল। আবার পরীক্ষা করা হলেও সেই রিপোর্ট পেতে পাঁচ-দশ দিন সময় লাগছিল। ফলে, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সংক্রমিতদের নিভৃতাবাসে পাঠানো হচ্ছিল না। তাতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। পরবর্তীতে ‘র্যাপিড টেস্ট’-এর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। রিপোর্ট দ্রুত মেলায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হয়েছে। এমনকি, ‘আরটিপিসিআর’ পরীক্ষার রিপোর্টও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ সব কারণের জন্য সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছে বলে দাবি বিএমওএইচ-এর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement