ভাতারের মুরাতিপুরে ‘সেফ হোমে’র প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বর্ধমান পুরসভার যৌথ উদ্যোগে বুধবার ‘কোভিড ফিল্ড হসপিটাল এবং সেফ হোমে’র উদ্বোধন হয়ে গেল। বিধায়ক খোকন দাস জানান, রাজ্য সরকারের অনুমোদন রয়েছে এই হাসপাতালে। ‘কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক’-এর যাবতীয় খরচ বহন করবে।
পুরসভার জলকল মাঠের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে। থাকছে কুড়িটি শয্যা, একটি অ্যাম্বুল্যান্স। পুরসভা ছাড়াও বর্ধমান সিএমএস স্কুলের প্রাক্তনী, রান্নার পাঠশালা, নাট্যকর্মীদের সংগঠন এর সঙ্গে রয়েছেন। চিকিৎসা-সহ সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে রোগীদের দেওয়া হবে। বিধায়কের দাবি, ‘‘অনেকেই বেসরকারি জায়গায় যাচ্ছেন। লাগামছাড়া বিল করার অভিযোগ আসছে। সেই ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। সবাইকে বলছি সরকারি বা এই ধরনের সেফ হোমে আসুন। প্রয়োজনে আরও এইরকম উদ্যোগ করা হবে।’’
পনেরো শয্যার দু’টি সেফ হোম প্রস্তুত করা হয়েছে ভাতারেও। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর বুধবার বিষয়টি নিয়ে ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে একটি জরুরি বৈঠক করে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক (ভাতার) মানগোবিন্দ অধিকারী, বিডিও তপন সরকার, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্ঘমিত্রা ভৌমিক। পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা জানান, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ভাতার ব্লকের এরুয়ার হংসেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় ও মুরাতিপুরের নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুষ্ঠান হলে দুটি সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। দুটি মিলিয়ে তিরিশটি শয্যার ব্যবস্থা করা গিয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তিতে অসুবিধা হলেই হোম দু’টি খুলে দেওয়া হবে, জানান তিনি। বিধায়ক জানান, ভাতার ব্লকের করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনারও উদ্যোগ করা হচ্ছে।