corona

উপপ্রধান আক্রান্ত, পঞ্চায়েতে শুধু জরুরি পরিষেবা

শুক্রবারই উপপ্রধান ও উৎরা গ্রামের ওই দু’জন নিজেদের উদ্যোগে বর্ধমানের ‘সেফ হাউসে’ চলে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৩:১০
Share:

আক্রান্তের বাড়ি ঘেরা হচ্ছে পূর্বস্থলীর পোলগ্রামে । নিজস্ব চিত্র

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেফাতুল্লাহ মোল্লা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্পর্শে আসা আরও দু’জনেরও রিপোর্টও ‘পজ়িটিভ।’ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই উপপ্রধান। মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে, তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। প্রথম বার ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসে। বৃহস্পতিবার উপপ্রধান ফের কালনা মহকুমা হাসপাতালে লালারসের নমুনা জমা দেন। তাতে ধরা পড়ে, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবারই উপপ্রধান ও উৎরা গ্রামের ওই দু’জন নিজেদের উদ্যোগে বর্ধমানের ‘সেফ হাউসে’ চলে গিয়েছেন।

Advertisement

তবে এই ক’দিনে উপপ্রধানের সংস্পর্শে এসেছেন অনেকে। সম্প্রতি কালনা আদালতে কয়েকজন দলীয় কর্মীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এ দিন কালনা ১ ব্লকে যে সাত জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে চার জনও সুলতানপুর পঞ্চায়েতের। কালনা ১-এর বিডিও শ্রেবন্তী বিশ্বাস জানান, উপপ্রধান যে এলাকার বাসিন্দা সেটি গণ্ডিবদ্ধ ঘোষণা করার জন্য জেলাশাসককে জানানো হচ্ছে। উপপ্রধানের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন বিএমওএইচ। কয়েকজনের লালারসের নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত কার্যালয় জীবাণুমুক্ত করা হবে। আপাতত শুধু জরুরি পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

এ দিনই আবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে থেকে মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়ার পরে, পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির লালারসের নমুনার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যাক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১৮ আগস্ট। দেহ দাহও করা হয় কালনা শ্মশানঘাটে। ২০ অগস্ট রিপোর্ট আসে। মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের অবশ্য দাবি, ‘‘মৃতদেহ ছাড়ার আগে অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভাল করে পরীক্ষা করেই মৃতদেহ ছাড়ে।’’

Advertisement

ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কালনায় এখনও কোনও ‘সেফ হাউস’নেই। ফলে, আক্রান্তদের নিয়ে যেতে হচ্ছে বর্ধমানে। সুপারের দাবি, কালনা ২ ব্লকের মানসী লজকে ‘সেফ হাউস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সেটি চালু করা হবে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন