Coronavirus

মৃদু উপসর্গে বাড়িতে, নির্দেশে বাড়ছে চিন্তা

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, “করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ মৃদু না খারাপ, সেটা ঠিক করবেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০১:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি

শুধু সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি নয়, করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ থাকলে এ বার বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যাবে করোনা-আক্রান্তেরও। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই বিজ্ঞপ্তির পরেই নতুন ভাবে ভিন্ রাজ্য থেকে ঘরে ফেরাদের নিয়ে ভাবছে জেলা প্রশাসন। পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক বা পড়ুয়াদের কী ভাবে রাখা হবে, তা নিয়েও ভাবনা চলছে।

Advertisement

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, “করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ মৃদু না খারাপ, সেটা ঠিক করবেন চিকিৎসকেরা। আর হোম কোয়রান্টিনে থাকার মতো পরিস্থিতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “পরিযায়ীদের সম্পর্কে পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা খোঁজ নিচ্ছেন। শরীর খারাপ থাকলেই স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হচ্ছে।’’

রাজ্যের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে সব পরিযায়ীরা আসবেন, তাঁদের সব তথ্য জেলা প্রশাসনকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু থেকে আসা পরিযায়ীদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ জনই ওই পাঁচ রাজ্য থেকে জেলায় এসেছেন। ঢুকেছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বর্ধমান স্টেশনে দেড়শোটি ট্রেন দাঁড়াবে। প্রতিদিন আনুমানিক বারোশো যাত্রী নামবেন বলে ধারণা করছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই পাঁচটি রাজ্যের সব পরিযায়ীদেরই লালারসের নমুনা নেওয়া হবে। বাকি রাজ্যের পরিযায়ীদের উপসর্গ মিললে তবেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ হবে। তবে প্রত্যেককেই ১৪ দিন বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে হবে। মৃদু সংক্রমণ হলেও বাড়িতেই রাখা যাবে। তবে একদম নিবিড় ভাবে ‘আইসোলেশন’-এ থাকতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এলেও ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ

থাকতে হবে।

প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, “জেলায় হোম কোয়রান্টিনে রাখার মতো ব্যবস্থা বেশির ভাগ বাড়িতেই পাওয়া যাবে না। সেখানে মৃদু সংক্রমণ হলেও করোনা-আক্রান্তকে কোভিড-১৯ হাসপাতালেই যেতে হবে।’’ জেলা প্রশাসনের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়রান্টিনে থাকাকালীন কী করতে হবে, তার নির্দেশিকা তুলে দেওয়া হবে। সেখানেই স্পষ্ট করে বলা থাকবে, নির্দেশ না মানলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন