উন্নয়নের কাজের নামে দুর্নীতি হচ্ছে, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন এক সদস্য। সমিতির একমাত্র বিজেপি সদস্য সুশান্ত বাগদি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন।
গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি আসনের মধ্যে গত পঞ্চায়েত ভোটে ১৭টি জিতে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। বিরোধীদের দখলে থাকা বাকি আসনগুলির মধ্যে একটি পায় বিজেপি। দলের সেই নির্বাচিত প্রতিনিধি সুশান্তবাবু অভিযোগ করেন, তৃণমূল পরিচালিত এই সমিতি তাঁর এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে তাঁকেই জানাচ্ছে না। বেশ কিছু কাজ তাঁকে না জানিয়েই করে ফেলা হচ্ছে। কালভার্ট তৈরি থেকে অঙ্গনওয়াড়ি নির্মাণ— তাঁকে না জানিয়েই তাঁর এলাকায় এই রকম নানা কাজ করা হয়েছে। সেগুলিতে যথেষ্ট দুর্নীতিও হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
সুশান্তবাবু আরও অভিযোগ করেন, এলাকায় বিভিন্ন কাজের জন্য সমিতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব আবেদন কোনও গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, এলাকাবাসীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘আমি বারবার নিজের এলাকার কাজের আবেদনগুলি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু কিছু জানানো হয়নি। এটা অপমানজনক এবং অসাংবিধানিক।’’ সুশান্তবাবু জানান, গত দেড় বছরে তাঁর এলাকায় ‘মাইনরটি মার্কেট হাব’, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-সহ নানা প্রকল্পে সেখানে প্রায় ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। সেই কাজ করার ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি-র এই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য।
সমিতির কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুশান্তবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি নিয়ম মতো তিন মাস অন্তর একটি করে বৈঠক হওয়ার কথা সমিতিতে। কিন্তু সে সব কিছু হচ্ছে না। তিনি জেলাশাসকের কাছে এ সব জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও পরবর্তী কাজগুলি ঠিক ভাবে করার আর্জি জানিয়েছেন।
গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই সব কাজ করা হয়েছে।’’ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।