শিক্ষিকা ও কর্মীদের শিশুদের দেখভালে নতুন কেন্দ্র

পাঁচ বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্সিতে চালু হয়েছে ‘ডে কেয়ার সেন্টার’। এ বার সেই পথে হাঁটতে চলেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ওই কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০১
Share:

পাঁচ বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্সিতে চালু হয়েছে ‘ডে কেয়ার সেন্টার’। এ বার সেই পথে হাঁটতে চলেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ওই কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, গবেষক, এমনকী, পড়ুয়াদের শিশুরাও দিনের অনেকটা সময় সেখানে থাকার সুযোগ পাবেন।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা নাকের মূল্যায়ণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডে কেয়ার’ কেন্দ্র না থাকা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। মহিলা কমিশনও বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রেশ বা ডে কেয়ার সেন্টার চালুর জন্য উদ্যোগী হতে বলেছিল। তারপরেই এই উদ্যোগ করেন কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরাও জানান, ঠিকঠাক ভাবে এই কেন্দ্র গড়ে উঠলে শিশুকে সেখানে রেখে নিশ্চিত মনে বাবা-মায়েরা কর্মস্থলে মনোনিবেশ করতে পারবেন। তাতে আখেড়ে লাভবান হবে পড়ুয়ারা এবং বৃহত্তর অর্থে সমাজ। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার মতে, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার উপর জোর দিতে চলেছে। ওই কেন্দ্র চালু হলে গবেষকদের অনেকেই দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে কাজে বেশি করে সময় দিতে পারবেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিখা দত্ত বা ব্রততী ভট্টাচার্য, সৈয়দ তনভীর নাসরিনদের কথায়, “কর্মরত মহিলাদের বিশেষ সুবিধা হবে। সন্তানকে নিয়ে উদ্বেগ থাকবে না।”

Advertisement

জানা গিয়েছে, গোলাপবাগ ও রাজবাটি—দুটি ক্যাম্পাসেই ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ গড়া হবে। শিশুদের খেলনা, আধুনিক সরঞ্জাম সবই থাকবে সেখানে। নিরাপত্তার জন্য সর্বক্ষণের মহিলা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও সিসিটিভির রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ রাজ্যে বিশ্বভারতীতে এ ধরণের কেন্দ্র রয়েছে। আট বছর আগে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলেও এখন তা বিশেষ কার্যকর নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রবীন্দ্রভারতীতেও এমন কেন্দ্র নেই।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ বলেন, “এই কেন্দ্রের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা রয়েছে। কলা বিভাগের ডিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য শিখা আদিত্য বলেন, “ওই কেন্দ্র চালু হলে সবস্তরের কর্মীদেরই সুবিধা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন