হাহাকার: কাটোয়া হাসপাতালে প্রিয়ার মা। নিজস্ব চিত্র
বাজার করতে যাবেন বলে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে পড়শি বৃদ্ধার কাছে রেখে গিয়েছিলেন বাবা-মা। ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরে শনিবার বর্ধমানের বেলকাশের কুমারপুর গ্রামে ওই শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। ঘটনায় দায়ী সন্দেহে পড়শি এক যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বাসিন্দারা।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের লক্ষ্মনিয়া-বটতলা এলাকার বাসিন্দা হরেন বর্মন ও মিনতিদেবী ফি বছরের মতো এ বারও বেলকাশের হরিপুর গ্রামের ইটভাটায় কাজ করতে এসেছেন। বর্মন দম্পতি শনিবার বলেন, ‘‘শুক্রবার মেয়ে প্রিয়াকে পড়শি বৃদ্ধা রত্না রাজবংশীর কাছে রেখে উদয়পল্লিতে বাজার করতে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি, মেয়ে নেই।’’ রাতভর বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও প্রিয়ার সন্ধান মেলেনি। পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে ওই ইটভাটা থেকে এক কিলোমিটার দূরের কুমারপুর গ্রামের আলু খেতে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সামসুল, অজিত ঘোষেদের দাবি, “মেয়েটির মুখ, সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। দেহটির এক দিকে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে।”
আরও পড়ুন: শিশু বদল কাণ্ডে হল তদন্ত কমিটি
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রিয়ার দেহ খুন করা হয়েছে। তবে দেহে আগুন দেওয়ার কথা মানতে চাননি তদন্তকারীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’ দেহটির ময়না-তদন্ত হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালে।