Barabani

বারাবনিতে পরিত্যক্ত কুয়োখাদ থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ

এলাকাবাসী জানান, তাঁরা কপিকলের সাহায্যে ওই কুয়োখাদ থেকে দৈনন্দিন কাজের জন্য জল তোলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাবনি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ০৯:১৭
Share:

এখানেই ঘটনা। নিজস্ব চিত্র

জল ভর্তি পরিত্যক্ত কুয়োখাদ (চানক) থেকে আনুমানিক বছর ৩৩-এর অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে বারাবনির জামগ্রাম পঞ্চায়েতের খরাবর এলাকার ঘটনা। আসানসোল জেলা হাসপাতালে দেহটির ময়না-তদন্ত করিয়েছে পুলিশ। অত্যন্ত বিপজ্জনক এই কুয়োখাদের চারদিকে পাঁচিল দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

এলাকাবাসী জানান, তাঁরা কপিকলের সাহায্যে ওই কুয়োখাদ থেকে দৈনন্দিন কাজের জন্য জল তোলেন। এ দিনও তা করতে গিয়ে, দেহটি ভাসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ পৌঁছে জল থেকে দেহটি তোলার ব্যবস্থা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দেহটি কয়েক দিন ধরেই জলে ভেসেছে। কী ভাবে এই মৃত্যু হয়েছে, তা সোমবার রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বোঝা যায়নি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।

এ দিকে, দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার যে কুয়োখাদ থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটির আশপাশে কয়েকটি বসতি রয়েছে। কিন্তু গভীর এই কুয়োখাদটি খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় পাসোয়ান বলেন, “খুব গরমে এই কুঁয়োখাদ আমাদের জলের প্রয়োজন মেটায়। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার জন্য এই কুয়োখাদের চার পাশে পাঁচিল দেওয়া হোক।” দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় জামগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কোশব রাউত। তিনিও বলেন, “কুয়োখাদগুলি খুবই বিপজ্জনক। কুয়োখাদটির চারপাশে পাঁচিল তুলে দেওয়ার জন্য ইসিএলের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছে।”

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাবনিতে এমন একাধিক পরিত্যক্ত কুয়োখাদ রয়েছে। বেসরকারি আমলে খনি মালিকেরা এমন কুয়োখাদ বানিয়ে কয়লা উত্তোলন করেছেন। পরিত্যক্ত হওয়ার পরে সেগুলি এখন জল ভর্তি। সালানপুর এরিয়ার পার্সোনেল ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জামগ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আবেদন এলে তাঁরা সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন