ঝোপের ধারে এক যুবকের দেহ ও এক যুবতীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল। শুক্রবার সন্ধ্যেই দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনির ঘটনা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে যুবককে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। তরুণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ পড়ে থাকতে দেখা যায় দু’জনকে। এরপরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোকআভেন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দেবজ্যোতি সাঁতরা (২২)। সে ওই থানা এলাকারই পুলিশ কোয়ার্টারের বাসিন্দা। দেবজ্যোতি বর্ধমানের সাধনপুর পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়া। ওই যুবকের বাবা ওই থানারই পুলিশকর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম তরুণী কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মেয়েটির বাড়ি নিয়ামতপুর এলাকারই একটি আবাসনে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, মেয়েটিকে এ দিনও সকালে এলাকায় দেখা গিয়েছে। তাঁর মায়ের দাবি, দুপুরে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরোন। ফিরতে দেরি হবে বলে জানিয়েছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই গলাতে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার কারণ কী, কো বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মমলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) সুব্রত দেব বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’