দুর্গাপুরে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে। নিজস্ব চিত্র
মূক ও বধিরদের নিয়ে রক্তদান শিবির আয়োজিত হল দুর্গাপুরে। রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে আয়োজিত ওই শিবিরে রক্ত দিতে এসেছিলেন মোট ১০ জন। যদিও শারীরিক কারণে চার জনের রক্ত নেওয়া যায়নি। শুধু মূক ও বধিরদের জন্য এমন আলাদা শিবিরের আয়োজন করতে পেরে খুশি উদ্যোক্তারা।
‘দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম’-এর সম্পাদক কবি ঘোষ জানান, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং দুর্গাপুর ও আসানসোলের মূক-বধিরদের ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় শিবিরটি আয়োজন করা হয়েছিল। মূক-বধির রক্তদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ক্রীড়া সংস্থা। মূক-বধিরদের ভাষা বুঝতে যাতে চিকিৎসকের অসুবিধা না হয় বা চিকিৎসকদের বক্তব্যও যাতে বুঝতে পারেন তাঁরা, তার জন্য ছিলেন ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ বিশেষজ্ঞেরাও। তেমনই এক জন দীপ্তি শ্যাম রায় বলেন, ‘‘প্রথমবার রক্তদান শিবিরে এই কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি।’’
রক্ত দিতে পেরে খুশি সকলেই। রক্ত দিয়েছেন পানাগড়ের একটি ব্যাঙ্কের কর্মী দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের হর্ষবর্ধন রোডের বাসিন্দা সৌরভ খাস্তগীর, তাঁর স্ত্রী শিলাদেবী। রক্তদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সৌরভবাবুর ভাই বেসরকারি কারখানার কর্মী শোভনবাবু, এমএএমসি কলোনির বাসিন্দা এক বেসরকারি সংস্থার বিপণন বিভাগের কর্মী শ্রীকান্ত সুরও, তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতাদেবী। রক্ত দিতে পেরে খুশি এমএএমসি কলোনির বাসিন্দা অনুপম দেবও।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই শিবিরকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। কবিবাবু বলেন, ‘‘এর আগে শুধু মহিলাদের নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এ ভাবে মূক-বধিরদের জন্য আলাদা শিবির এভাবে আগে কোথাও হয়েছে কি না জানা নেই। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষ রক্তদান আন্দোলনে যে ভাবে যোগ দিচ্ছেন, তাতে আমরা
ভীষণ খুশি।’’