যুবকের পেট থেকে বার করা হল ২ কেজি সিমেন্ট

বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে গোলা সিমেন্ট খেয়ে ফেলেছিল এক যুবক। ঘটনার পাঁচ দিন পর, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড় ঘন্টা অস্ত্রোপচার করে যুবকের পাকস্থলী থেকে প্রায় দু’কিলোগ্রাম ওজনের জমা সিমেন্ট বের করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮ ০১:০৪
Share:

হাসপাতালে বিকাশ। নিজস্ব চিত্র

বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে গোলা সিমেন্ট খেয়ে ফেলেছিল এক যুবক। ঘটনার পাঁচ দিন পর, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড় ঘন্টা অস্ত্রোপচার করে যুবকের পাকস্থলী থেকে প্রায় দু’কিলোগ্রাম ওজনের জমা সিমেন্ট বের করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোগীর অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। এ ধরণের রোগী আগে পাওয়া যায়নি বলে বাস্তবিক ভাবে অস্ত্রোপচার কঠিন ছিল। পাকস্থলীর ভিতর জমাট সিমেন্ট কী অবস্থায় রয়েছে বারবার দেখার পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছরের যুবক বিকাশ পালের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার পশ্চিম মহেশডাঙা গ্রামের বাবুদহে। শনিবার সকালে বাবার সঙ্গে ঝগড়ার পরে বাড়ির উঠোনে বালতিতে রাখা গোলা সিমেন্ট পরপর কয়েক গ্লাস খেয়ে নেন ওই যুবক। কিছুক্ষণ পর থেকেই পেট ব্যথা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারের দাবি, বিকাশকে প্রথমে বীরভূমের মুরারই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, রোগীর অবস্থা ভাল নয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। রবিবারই বিকাশকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তথা অধ্যাপক স্নেহাংশু পানের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:করাত দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করেছি স্ত্রীকে, থানায় হাজির স্বামী

স্নেহাংশুবাবুর কথায়, “ভর্তি করার পর নানা পরীক্ষা করে দেখা যায় অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ অস্ত্রোপচারের পর ভাল আছেন বিকাশ। এ দিন তাঁর পাশে বসে পিসি রেখাদেবী ও বন্ধু পূষণ কুমার জানান, বিকাশের বাবা ধীরেনবাবু ভাস্কর্য শিল্পী। বিকাশও বাবার সঙ্গে ওই কাজ করেন। কিন্তু শনিবার বিকাশ কাজ করতে নিমরাজি থাকায় ধীরেনবাবু ভর্ৎসনা করেন তাঁকে। তারপরেই গোলা সিমেন্ট খেয়ে নেয় বিকাশ। রেখাদেবী বলেন, ‘‘একের পর এক হাসপাতাল আমাদের অন্যত্র পাঠানোয় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’

হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “চুল খাওয়া, মাটি খাওয়ার রোগী দেখেছি। কিন্তু গোলা সিমেন্ট খাওয়ার ঘটনা কখনও শুনিনি। শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা নথি খুঁজেও ওই রকম রোগীর সন্ধান পাননি!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন