অন্ডালে শিশুর গলায় বঁটির কোপ মদ্যপের

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। বাসন্তীদেবীকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাড়ার লোক জন জানান, সকাল থেকেই এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় ঘুরছিল বিনোদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

রাস্তায় খেলছিল শিশুটি। আচমকা বঁটি হাতে ছুটে এল পাড়ারই এক মদ্যপ ‘কাকু’। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে গলায় কোপ মারে শিশুটির। মাটিতে লুটিয়ে পড়া নাতিকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হলেন ঠাকুমাও। রবিবার অন্ডালের কেসি পাল কোলিয়ারির আটচালা এলাকার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরের খাওয়া সেরে বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলছিল মনু গুরু (৬) নামে ওই শিশুটি। দুপুর তিনটে নাগাদ পাড়ারই বাসিন্দা বিনোদ বাউরি নামে এক জন বঁটি হাতে ছুটে আসে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুহূর্তের মধ্যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মনুর গলায় বঁটির কোপ মারে বিনোদ। চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মনুর ঠাকুমা বাসন্তীদেবী। নাতিকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বঁটির কোপ মারে বিনোদ। এর পরে পাড়ার কয়েক জন বিনোদকে পাকড়াও করে বেঁধে রাখে। পরে অন্ডাল থানার পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। বাসন্তীদেবীকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাড়ার লোক জন জানান, সকাল থেকেই এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় ঘুরছিল বিনোদ। কোনও এক সময়ে বাড়িতে ঢুকে বঁটি হাতে বেরিয়ে গোলমাল শুরু করে সে। মৃত শিশুর মা পিঙ্কিদেবী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘লোকটাকে ছেলেটা ‘কাকু’ বলে ডাকত। ও যে এমন কাণ্ড ঘটাবে ভাবতেই পারছি না।’’ ঘটনার সময়ে পিঙ্কিদেবী বাড়ির কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। মনুর বাবা কর্মসূত্রে ওডিশায় থাকেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনোদের এক সময়ে এলাকাতেই চপ, সিঙ্গাড়ার দোকান ছিল। মাস ছয়েক ধরে সে দিনমজুরের কাজ করত। এক পড়শির দাবি, মদ্যপানের কারণে দিন কয়েক আগে বিনোদের স্ত্রী’ও ছেড়ে চলে যান।

পুলিশ জানায়, বিনোদের বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা কৌশল সিংহ বলেন, ‘‘বিনোদের চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ তবে কেন এমন কাণ্ড ঘটাল বিনোদ? এক তদন্তকারীর দাবি, সম্ভবত মানসিক অবসাদ থেকেই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে বিনোদ। শিশুটির দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন