বকেয়া বেতন, বিক্ষোভ রক্ষীদের

‘ইসিএল ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়ন’-এর নেতৃত্বে ঘণ্টা দু’য়েক বিক্ষোভ চলে। খনি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

কুনস্তরিয়া এরিয়ায়। নিজস্ব চিত্র

মাস চারেক ধরে বেতন বকেয়া, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার ইসিএলের কুনস্তরিয়া এরিয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকাদার সংস্থা নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। ‘ইসিএল ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়ন’-এর নেতৃত্বে ঘণ্টা দু’য়েক বিক্ষোভ চলে। খনি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।

Advertisement

ওই ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ১৪৫ জন নিরাপত্তরক্ষীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে তাঁদের পুনর্বহাল করা হয়। ওই রক্ষীদের অভিযোগ, অগস্ট থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তার জেরে বিপাকে পড়েছেন। নিরাপত্তারক্ষী মহম্মদ সিরাজুল জানান, ছেলে ও মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পড়াশোনার টাকা জোগাড় করতে না পেরে চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন। অনুপ গোপ, সওকত খানেরা জানান, দোকানদারেরা দেনায় কোনও জিনিস আর দিতে চাইছেন না। তাতে পরিবার নিয়ে সঙ্কটে পড়ছেন।

এ ছাড়া, ওই ইউনিয়ন অভিযোগ করে, বেশির ভাগ কর্মীর ‘ইএসআই কার্ড’ নেই। ফলে, চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি কেন্দা এরিয়ার শঙ্করপুর খোলামুখ খনির এক রক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। টানা বেতন না পাওয়ায় তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সহকর্মীদের দাবি। বারবার বেতনের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, এই অভিযোগে এ দিন এরিয়া অফিসে জড়ো হন তাঁরা।

Advertisement

এইচএমএস নেতা উদীপ সিংহ, কেকেএসসি-র লালু মাজি, সিটুর কলিমুদ্দিন আনসারিরা অভিযোগ করেন, নিরাপত্তারক্ষী-সহ সব ঠিকাকর্মীদের সরকার নির্ধারিত বেতনের থেকে অনেক কম টাকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন পরিষেবা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হন। কুনস্তরিয়া এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অমিতকুমার ধর বলেন, ‘‘ঠিকাদার সংস্থা রক্ষীদের পিএফের টাকা জমা না দেওয়ায় নিয়মের ফাঁসে বেতনের টাকা তাদের দেওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার আমরাই পিএফের টাকা কেটে নিয়ে বেতন মেটানোর ব্যবস্থা করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন