লক্ষ্মণ বারুইয়ের তৈরি প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
রঙবেরঙের সুতোয় সাজছেন দুর্গা।
তাঁতের শাড়ি বোনার পরে পরে থাকা সুতো দিয়েই কালনা শহর ঘেঁষা রংপাড়ার শিল্পী লক্ষ্মণ বারুই বানিয়ে ফেলেছেন দুর্গামূর্তিটি। কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতার নিউ আলিপুরের একটি মণ্ডপে পাড়িও দেবে সেটি।
বছর সাতাশের লক্ষ্ণণবাবুর নেশা নানা উপকরণ দিয়ে প্রতিমা গড়া। এর আগে সরস্বতী পুজোতেও পাটকাঠি দিয়ে প্রতিমা গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার বাড়ির সামনের এক ফালি উঠোনে পাটকাঠি, পলিথিনের অস্থায়ী ঘরে চলছে সুতো জুড়ে জুড়ে দুর্গামুর্তি তৈরি। চার মাসের পরিশ্রমে লক্ষ্ণবাবুকে সাহায্য করছেন তাঁর দাদা গোপাল বারুই। একচালার প্রতিমায় আঠা দিয়ে সুতো লাগানোর কাজ চলছে এখন। লক্ষ্ণণবাবু জানান, পোশাক ও প্রতিমার দেহের নানা অংশ মিলিয়ে ২০টি রঙের সুতো ব্যবহার করা হয়েছে। দুর্গার শাড়িতে যেমন রয়েছে লাল ও বেগুনি। আবার সিংহকে সাজানো হয়েছে হলুদ সুতোতে। আবার গণেশের ধুতিতে রয়েছে সাদা এবং মেরুনের মিশ্রন।
শিল্পীর দাবি, প্রতিমাটি তৈরি করতে লেগেছে ২০ কেজির বেশি সুতো লেগেছে। কালনায় এমনিতেই বহু তাঁতশিল্পীর বাস। ফলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই কাপড় বোনার পর পরে থাকা সুতো জোগাড় করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বছর দুয়েক আগে এলাকার ক্লাবে সরস্বতী পুজোয় সুতো দিয়ে একটি প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। সে ভাবনাটা কলকাতার ক্লাবটির ভাল লাগে। এরপর তারাই সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরি করতে বলে।’’ মহালয়ার আগের দিন প্রতিমাটি পাঠানো হবে কলকাতায়।