জেলার নামে চাই ‘দুর্গাপুর’

জেলা সদর করার দাবি রয়েছেই। তা পূরণ যদি না-ও হয়, নতুন জেলার নামে ‘দুর্গাপুর’ শব্দটি যেন থাকে। দুর্গাপুরের ১৩টি রাজনৈতিক গণ সংগঠনের জোট ইতিমধ্যে মহকুমাশাসকের কাছে এই আর্জিতে স্মারকলিপি দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৬ ০১:০১
Share:

জেলা সদর করার দাবি রয়েছেই। তা পূরণ যদি না-ও হয়, নতুন জেলার নামে ‘দুর্গাপুর’ শব্দটি যেন থাকে। দুর্গাপুরের ১৩টি রাজনৈতিক গণ সংগঠনের জোট ইতিমধ্যে মহকুমাশাসকের কাছে এই আর্জিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। এ বার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় শহরের মেয়র ও কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি কাউন্সিলরদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রাখার দাবি জানালেন। শহরের ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘সিপিএম এ ভাবে কখনও ইতিবাচক উদ্যোগের কথা ভাবতেই পারেনি। দুর্গাপুরের কীসে ভাল, আমরা জানি।’’

Advertisement

গণ সংগঠনের নেতাদের যুক্তি, কলকাতা থেকে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিন ঘণ্টায় পৌঁছনো যায় শিল্পশহর দুর্গাপুরে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিল্প সংস্থার পাশাপাশি বড় হোটেল, মাল্টিপ্লেক্স, শপিংমল, স্কুল, নানা রকম কলেজ, তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক, বিভিন্ন সংস্থার শো-রুম গড়ে উঠেছে। শহর থেকে কিছুটা দূরে তৈরি হয়েছে অন্ডাল বিমাননগরী। বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া— এই চার জেলার প্রায় কেন্দ্রস্থল দুর্গাপুর। শহরের জনসংখ্যা কম। চওড়া রাস্তাঘাট। খনি এলাকা না হওয়ায় ধসের সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে দুর্গাপুরই জেলা সদর হওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে দাবি করে গণ সংগঠনের জোট আন্দোলন শুরু করেছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা শিবশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের এই শহরের মানুষের আবেগকে সম্মান দিয়ে নতুন জেলার নামকরণে ‘দুর্গাপুর’ শব্দটি রাখার দাবি জানাচ্ছি। শহরের মেয়র-সহ সব কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। সবাই একজোট হয়ে এই দাবি জানানো উচিত।’’ তাঁর আরও দাবি, দুর্গাপুর থেকে বিভিন্ন সরকারি ও আধা সরকারি দফতরের মূল ভবন সরানোর পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। তা আটকাতে হবে বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন শিবশঙ্করবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের আগামি বৈঠকে আলোচনার দাবি জানিয়েছি। সবাই একজোট হতে পারলে মেয়রের মাধ্যমে তা উপযুক্ত জায়গায় পাঠানোর আর্জি জানিয়েছি।’’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর বলেন, ‘‘বিষয়টি শহরের স্বার্থে। তবে এ নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাই কী হতে চলেছে সে নিয়ে আমরা ধন্দে রয়েছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন