বন্ধ ভর্তুকি, আধার বিপাকে বাসিন্দারা

আধার কার্ড না থাকায় জুলাই থেকে মিলছে না গ্যাসের ভর্তুকি। অভিযোগ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও জানা যায়নি, কী ভাবে মিলবে কার্ড। আর এর জেরে সমস্যায় প়ড়তে হচ্ছে বলে জানান দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০০:১৩
Share:

আধার কার্ড না থাকায় জুলাই থেকে মিলছে না গ্যাসের ভর্তুকি। অভিযোগ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও জানা যায়নি, কী ভাবে মিলবে কার্ড। আর এর জেরে সমস্যায় প়ড়তে হচ্ছে বলে জানান দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর আগে আধার কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই এত দিন আধার কার্ড আবশ্যিক না হওয়ায় কার্ড তৈরির তেমন আগ্রহ ছিল না অনেকেরেই। কিন্তু কার্ড না থাকায় রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।

সিটি সেন্টার এলাকার বাসিন্দা কৌশিক বসু। তিনি বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। দুর্গাপুরে তাঁর নামে রয়েছে গ্যাসের সংযোগ। কিন্তু আধার কার্ড না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে গ্যাসের ভর্তুকি। কৌশিকবাবু জানান, বছর খানেক আগে সিধো-কানহো স্টেডিয়ামে আধার কার্ডের জন্য লাইন দিয়েছিলেন। দীর্ঘ লাইন পড়লেও একটিমাত্র মেশিনেই কাজ চলছিল। কৌশিকবাবু জানান, এরপরেই খানিক গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় শিবির। একই সমস্যায় পড়েছেন ডিএসপি টাউনশিপের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পোদ্দার। সকলেরই ক্ষোভ, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দরবার করেও জানা যায়নি, কোথায় গেলে বা কী ভাবে আধার কার্ড মিলবে।

Advertisement

পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে জনগণনায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) তৈরি করা হয়। এনপিআরে নাম তোলার জন্য যে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করা হয়, তার ভিত্তিতেই সেই সময়ে মিলছিল আধার কার্ড। কিন্তু এনপিআরের জন্য করা বায়োমেট্রিক পরীক্ষার মান যথাযথ না হওয়ায় অনেকেই আধার কার্ড পাননি। পরে সমস্যা মেটাতে পুরসভার তরফে ওয়ার্ডগুলিতে শিবির করা হয়। সেই সময়ে শিবির থেকে আধার কার্ডের জন্য বিনামূল্যে ফর্মও দেওয়া হয়। ফর্ম পূরণ করে তার সঙ্গে ভোটের পরিচয়পত্র, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ডের মতো যে কোনও একটি প্রমাণপত্র ও ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে শেষ তিন মাসের জল বা বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। যদি তা না থাকে, তাহলে পরিবারের প্রবীণ সদস্যের সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণপত্র দিলেও চলবে। এরপরে নির্দিষ্ট যন্ত্রের মাধ্যমে আবেদনকারীর ছবি, আঙুলের ছাপ ও রেটিনা স্ক্যান করা হয়। সব ঠিক থাকলে তিন মাসের মধ্যে ডাকযোগে বাড়িতে আধার কার্ড পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, নানা কারণে যথাযথ পরিষেবা মিলছিল না। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাই অনেকে হাতে পাননি কার্ড। আবার অনেকে কার্ড পেলেও, সেখানে তথ্যগত ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সেই ভুল সংশোধনের জন্য কী করতে হবে, সে বিষয়েও প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজে গাফিলতির অভিযোগে আগের সংস্থাকে বাতিল করে নতুন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সংস্থা এখনও কাজ শুরু করেনি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘নতুন সংস্থা কাজ শুরু করার আগে গোটা এলাকায় প্রচারে নামবে প্রশাসন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন