সম্প্রসারণের জন্য জমি চাইল ইসিএল

২০১৬-র নভেম্বরে ওই খনিটি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ঠিকা দেয় ইসিএল। কিন্তু দূষণ ও ধসের আতঙ্কে কেন্দা গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামরক্ষা কমিটি গড়ে প্রায় হাজার দেড়েক বাসিন্দা পুনর্বাসনের দাবিতে খনির কাজ শুরুই করতে দেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

কেন্দা এরিয়ার জামুড়িয়া নিউকেন্দা খোলামুখ খনি সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীর সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে সম্প্রতি ওই খনিতে কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার পরই খনি সম্প্রসারণের বিষয়ে তোড়জোড় করা হচ্ছে বলে জানান খনি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

২০১৬-র নভেম্বরে ওই খনিটি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ঠিকা দেয় ইসিএল। কিন্তু দূষণ ও ধসের আতঙ্কে কেন্দা গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামরক্ষা কমিটি গড়ে প্রায় হাজার দেড়েক বাসিন্দা পুনর্বাসনের দাবিতে খনির কাজ শুরুই করতে দেননি। অবশেষে ইসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেন। দাবি মেটানোর আশ্বাস দিয়ে গত বছরের গোড়ায় কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সম্প্রতি খনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার জিএম সঞ্জয় সিংহ। তিনি জানান, মাটি কাটার কাজ প্রায় শেষের মুখে। বেসরকারি সংস্থাটিকে অত্যাধুনিক যন্ত্র নামিয়ে দ্রুত গতিতে কয়লা উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসিএল জানায়, দু’বছর আগে খনি চালু করার কথা ছিল। তা না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে খনি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘এখন যেখানে কাজ হচ্ছে, তার পাশেই আরও প্রায় তিন একর সরকারি জমি রয়েছে। সেই জমি চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছি। আবেদন মঞ্জুর হলেই জমির দাম মিটিয়ে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করা হবে।’’

Advertisement

ইসিএল জানায়, ওই খোলামুখ খনি থেকে প্রায় সাড়ে চোদ্দো হাজার মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৯-র মধ্যে কয়লার এই সঞ্চিত ভাণ্ডার তুলে নেওয়া হবে। প্রথমে ঠিক ছিল, বর্তমান খোলামুখ খনির কয়লা নিঃশেষিত হওয়ার পরেই সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষতি মেটাতে এবং ভবিষ্যতে ফের যাতে কোনও রকম বাধার সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্যই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কেন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরুর আবেদন করেছে আইএনটিইউসি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, খনি সম্প্রসারণে আপত্তি নেই। কিন্তু কেন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি পূরণ না হলে ফের তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হতে পারে।’’ একই কথা জানিয়েছেন সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন