পুড়ে ছাই জিনিসপত্র। পূর্বস্থলীর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
আগুন লেগে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের ভাতুরিয়া গ্রামে ভস্মীভূত হয়ে গেল আদিবাসী পরিবারের আটটি বাড়ি। আচমকা এই ঘটনায় তারা সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেছে বলে জানায় আদিবাসী পরিবারগুলি। আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে বেশ কয়েকটি গবাদি পশু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামের ওঁরাও পাড়ায় বহু বছর ধরে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারের বাস। কৃষিকাজই পরিবারের সদস্যদের জীবিকা। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ আচমকা আগুন লাগে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, একটি গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর জন্য দেওয়া ধোঁয়া থেকে আগুন ধরে যায়। এক বাড়ি থেকে ক্রমশ অন্য বাড়িতে তা ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা, ওই রাতে দমকা হাওয়া চলতে থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কোনও রকমে বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচলেও নষ্ট হয়ে যায় তাঁদের যাবতীয় জিনিসপত্র।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাদনঘাট থানার পুলিশ। কালনা দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিনও যায়। এলাকার বাসিন্দা ও দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘর হারানো পরিবারগুলির সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এলাকার একটি স্কুলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের কথা বলেছেন পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রানসামগ্রী বিলির কাজ শুরু হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আচমকা এমন ঘটনায় হতভম্ব আদিবাসী পরিবারের সদস্যেরা। ঊর্মিলা ওঁরাও, মালতি ওঁরাও, শেফালি ওঁরাওদের কথায়, ‘‘ছেলেমেয়েদের বই-খাতা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ঘরের কোনও আসবাবপত্র অবশিষ্ট নেই। কী ভাবে এই ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে, ভেবে পাচ্ছি না আমরা।’’ বাসিন্দারা জানান, অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ছাগল ও বাছুর মারা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা নিরঞ্জন ওঁরাওয়ের আক্ষেপ, গৃহপালিত পশুগুলির গলার দড়ি খুলে দিতে পারলে সেগুলি বেঁচে যেত। দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের তরফে পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।