কতটা প্রস্তুত অ্যাপ, খোঁজ কমিশনের

জেলা প্রশাসনের কাছে তা খুঁটিয়ে জানলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব এবং অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ওঙ্কার সিংহ মিনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

বৈঠকে কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।

এখনও চালু হয়নি অ্যাপ। তবে তার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, জেলা প্রশাসনের কাছে তা খুঁটিয়ে জানলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব এবং অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ওঙ্কার সিংহ মিনা।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের ‘সি-ভিজিল’ অ্যাপ নিয়ে মঙ্গলবার বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নানা প্রশ্ন করলেন কমিশনের আধিকারিকেরা। সিইও বলেন, ‘‘সি-ভিজিল অ্যাপের প্রস্তুতি কেমন, জেলা প্রশাসনের কাছে সেটা নিয়েই খোঁজ নেওয়া হল।’’

কয়েক দিন আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, লোকসভা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য ওই অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ভোট চলাকালীন যে কেউ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। দ্রুত ভিডিয়ো আপলোড করা যাবে। জিয়োগ্রাফিক ইনফর্মেশন সিস্টেমের (জিআইএস) মাধ্যমে অভিযোগকারীর অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে। ওই অভিযোগ চলে যাবে জেলার কন্ট্রোল রুমে। ১০০ মিনিটের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হবে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এর প্রস্তুতিতে উন্নয়ন ভবনে একটি দফতর খোলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে। অ্যাপে পাওয়া অভিযোগ দেখার পরেই এমসিসি (মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট) দলে থাকা ফ্লাইং স্কোয়াডকে জানানো হবে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে ১৬টি বিধানসভায় একটি করে, মোট ১৬টি ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি স্কোয়াডের মাথায় রয়েছেন এক জন করে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি বিধানসভায় তিনটি করে, মোট ৪৮টি এমসিসি দল গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগীর কথায়, “প্রয়োজন মতো দল বাড়ানো হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে এফআইআর করারও অধিকার দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। সে ক্ষেত্রে তা নির্বাচন কমিশনের ‘ন্যাশনাল গ্রিভেন্স’ পোর্টালে চলে যাবে। এ দিন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জানিয়ে দেন, অভিযোগকারীর পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকবে। এই অ্যাপটিতে আগে থেকে রেকর্ড করা কোনও ছবি বা ভিডিয়ো পাঠানো যাবে না।

প্রতিবন্ধীদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেন কমিশনের কর্তারা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের নিয়মনীতি জানানোর ব্রেইল পদ্ধতিতে একটি বই প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। সেটির উদ্বোধন করেন সিইও আরিজ আফতাব। জেলা প্রশাসন জানায়, ২৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত র‍্যাম্প তৈরি করা হয়নি। শীঘ্রই তা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার লিটার চোলাই উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১৩০০ জনের গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও কার্যকর হয়নি বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৮টি বিষয়ের উপরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে প্রশ্নোত্তর চলে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাজে কী তাঁরা কতটা সন্তুষ্ট, সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি কমিশনের কর্তারা। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব অবশ্য বলেন, “আমাদের কাজে কমিশন সন্তুষ্ট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন