খনির বিস্ফোরণে বাড়িতে ফাটল, অভিযোগ কেন্দায়

জমি অধিগ্রহণ না করে ও পুনর্বাসন না দিয়েই কেন্দা খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটার কাজ করছে ইসিএল। এর জেরে খনিতে বিস্ফোরণ হলেই বাড়িতে ফাটল দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

চৌচির: বাড়ির দেওয়ালের এমনই হাল। নিজস্ব চিত্র

জমি অধিগ্রহণ না করে ও পুনর্বাসন না দিয়েই কেন্দা খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটার কাজ করছে ইসিএল। এর জেরে খনিতে বিস্ফোরণ হলেই বাড়িতে ফাটল দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, ওই খনি থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরে রয়েছে গ্রামের ভগুডাঙা এলাকা। অভিযোগ, সেখানেই সমস্যা বেশি। হয়রানি বাদ্যকর, আনন্দ বাউরি, স্বাধীন বাউরিদের অভিযোগ, ‘‘মাস ছয়েক আগে ‘ইন্দিরা আবাস’ প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক দিন পরে থেকেই এলাকার প্রায় ১৫টি বাড়িতে ফাটল দেখা যাচ্ছে।’’ একই ক্ষোভ যমুনা ভট্টাচার্য, পার্বতী ভুঁইয়াদেরও। তাঁরা জানান, খনিতে বিস্ফোরণ হলেই বাড়ি কাঁপছে। তাঁদের এক জনের আশঙ্কা, ‘‘রাতে ঘুমিয়ে আছি সকলে। আচমকা দেখি, থরথর করে বাড়ি কাঁপছে। ভয় হয়, এই বুঝি মাটিতে তলিয়ে গেল বাড়ি।’’

এই এলাকায় খনি ধসের সমস্যা অবশ্য নতুন নয়। বাসিন্দাদের দাবি, গত তিন দশকে প্রায় ১০ বার ধস নেমেছে এলাকায়। এক বার একটি আস্ত বাড়ি মাটিতে তলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ২০১৬-র নভেম্বর মাসের শেষ দিকে খনিটি চালু হয়। বাসিন্দাদের দাবি, তখন বাজার মূল্যে জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়। কিন্তু সে সব ব্যবস্থা না করেই ইসিএল কয়লা কাটতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ।কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির সম্পাদক বিজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এখন আমরা আন্দোলনে যাচ্ছি না। তা ছাড়া হাইকোর্টে জমির দর নিয়ে মামলা চলছে।’’

Advertisement

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়ের যদিও দাবি, ‘‘বিধি মেনেই কাজ করা হচ্ছে। পুনর্বাসনের জন্য ওই এলাকাগুলি চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন