বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

দূষণ ছড়ানোয় অভিযুক্ত কারখানা

দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বিওজিএল প্ল্যান্ট সাইড এলাকার বাসিন্দারা এলাকার কয়েকটি বেসরকারি কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের অভিযোগ, বিকেল হলেই দূষণ বাড়ছে। রাতের দিকে সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৮
Share:

আবছা: দূষণে এই হাল বলে দাবি। নিজস্ব চিত্র

দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বিওজিএল প্ল্যান্ট সাইড এলাকার বাসিন্দারা এলাকার কয়েকটি বেসরকারি কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের অভিযোগ, বিকেল হলেই দূষণ বাড়ছে। রাতের দিকে সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বাসিন্দাদের অনেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন।

Advertisement

দুর্গাপুরের লেনিন সরণি রোডের ধারে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন, ইস্পাত কারখানা রয়েছে। সেই সব কারখানা এবং অদূরের বিসি রায় রোড লাগোয়া কারখানাগুলি থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। দূষণের ফলে গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় টেকা দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁরা জানান, বাড়ি-ঘর-বারান্দা, সব জায়গা ঢেকে যাচ্ছে কারখানার বর্জ্যে।

পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাস নেওয়ার সময়ে দূষণের কণা নাসিকা ঝিল্লি ও নাকের ভিতরে থাকা পেশির স্তরে যে আধা-তরল পদার্থ আছে, তাতে আটকে যায়। কিন্তু ছোট ২.৫ মাইক্রন আকৃতির কণিকা ‘ট্রাকিয়া’ হয়ে ফুসফুসের অ্যালভিওলাইয়ে চলে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যায় বলে চিকিৎসকেরা জানান। যা থেকে হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়া বাতাসে ভাসমান দূষিত কণিকা থেকে চোখেরও নানা রোগ হতে পারে বলে দাবি চিকিৎসকদের।

Advertisement

প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, মাঝেসাঝেই অভিযান চালানো হয় কারখানাগুলিতে। তবে কর্তাদের একাংশের দাবি, বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে অনেক সময়েই দূষণনিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহৃত হয় না কয়েকটি কারখানায়। এর ফলেই দূষণ লাগামছাড়া হয়ে যায়। প্রশাসনের আশ্বাস, ফের অভিযান চালানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন