ক্ষীরগ্রামে চাষির মেয়ে কেন আত্মঘাতী, ধোঁয়াশা

চাষি পরিবারের এক কিশোরীর অপমৃত্যু হল মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে। তবে কী কারণে একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের ওই ছাত্রী অত্মঘাতী হয়েছে, তা নিয়ে নানা দাবি করেছেন কিশোরীর বাবা, পড়শি এবং তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০২:০৭
Share:

চাষি পরিবারের এক কিশোরীর অপমৃত্যু হল মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে। তবে কী কারণে একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের ওই ছাত্রী অত্মঘাতী হয়েছে, তা নিয়ে নানা দাবি করেছেন কিশোরীর বাবা, পড়শি এবং তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়িতেই কীটনাশক পান করে ক্ষীরগ্রাম যোগাদ্যা বাণীপীঠের ছাত্রী কাকলি সাঁতরা (১৭)। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে রবিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তবে ওই ছাত্রী কেন আত্মঘাতী হয়েছে, তা নিয়ে নানা দাবি উঠেছে।

পরিবারের একাংশের দাবি, ছাত্রীর বাবা কাজলবাবু ১৩ বিঘা জমিতে ভাগে বোরো চাষ করেছিলেন। তার জন্য তিনি মহাজনের কাছ থেকে মোট ৯৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু সম্প্রতি কালবৈশাখীতে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যে টাকা আদায়ে বাড়িতে পাওনাদারদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

Advertisement

পড়শিদের একাংশের দাবি, এই কারণে এবং ব্যক্তিগত কিছু সমস্যায় প্রায়শই কাজলবাবু ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জুদেবীর মধ্যে অশান্তি হতো। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়শির দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক চাপে কাকলি আত্মঘাতী হয়েছে। ছাত্রীটির বাবা কাজলবাবুর যদিও দাবি, ‘‘মেয়েকে বকাঝকা করেছিলাম। সেই জন্যই হয়তো এমন কাণ্ড ঘটাল।’’

নেপাল সাঁতরা, কানু সাঁতরাদের মতো কয়েক জন পড়শির আবার দাবি, সামনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কাকলির। ধার শোধ না করতে পারলে পড়াশোনা চালানো যাবে কি না, সেই আশঙ্কা থেকেও আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে ছাত্রীটি। যদিও এই দাবি স্বীকার করেননি কাকলির স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রীটি কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছিল। কোনও অসুবিধার কথা আমাকে, শিক্ষকদের, এমনকী বন্ধুদেরও সে জানায়নি। জানালে নিশ্চয় সাহায্য করা হতো।’’

মঙ্গলকোট থানার তদন্তকারীরাও দাবি করেছেন, চাষে ক্ষতির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। তাদের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে অশান্তির কারণেই ছাত্রীটি আত্মঘাতী হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন