Purbasthali

আমের লাভজনক দর নেই, দাবি চাষিদের

আম চাষিরা জানান, এ বার ফলন বেশ ভাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগও তেমন ঘটেনি। তীব্র রোদ-গরমে এ বার কিছুটা আগেই গাছে পাকতে শুরু করেছে আম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১০:১৬
Share:

লাভ-লোকসানের অঙ্ক — ফাইল চিত্র।

সামনে জামাইষষ্ঠী। তার আগে বাজারে আসতে শুরু করেছে আম। কিন্তু পূর্বস্থলীর আম চাষিদের বড় অংশের দাবি, এ বার পাকা আমের লাভজনক দর মিলছে না।

Advertisement

পূর্বস্থলী ২ ব্লকে রয়েছে প্রচুর আমের বাগান। অনেকে গতানুগতিক চাষ ছেড়ে জমিতে বিভিন্ন রকম আম চাষ করেন। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালী, মধুকুলকুলি, চট্টোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হয় এলাকায়। বছর পাঁচেক আগে পূর্বস্থলীর হিমসাগর আম সাড়া ফেলেছিল রাজ্য আম উৎসবে। উদ্যানপালন দফতর এখানকার আম বিদেশে রফতানির পরিকল্পনাও নিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আম পাকতে শুরু করলে বাগানগুলিতে ভিন্‌-রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন। এলাকার পাইকারি বাজারগুলিতেও বিক্রি হয় প্রচুর আম।

আম চাষিরা জানান, এ বার ফলন বেশ ভাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগও তেমন ঘটেনি। তীব্র রোদ-গরমে এ বার কিছুটা আগেই গাছে পাকতে শুরু করেছে আম। দুর্যোগের আশঙ্কায় অনেকে গাছ থেকে পেড়ে নিতে শুরু করেছেন আম। ফলে, বাজারে প্রচুর আম চলে এসেছে। পূর্বস্থলীর একটি বাগানে দাঁড়িয়ে ভাসান শেখ জানান, আম চাষে স্প্রে-সহ নানা খরচ বেড়েছে। গাছ থেকে প্রতি ২ কুইন্টাল আম পাড়তে এক-এক জনকে মজুরি দিতে হয় ৫০০ টাকা করে। এ ছাড়া, পাকানো, বাজারে পাঠানোর খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে, কেজি প্রতি হিমসাগর আম ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি করলে কিছুটা লাভ হয়। এ বার সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। ল্যাংড়া আম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। ফলে, আম বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে।

Advertisement

ওই চাষির দাবি, বিহার থেকে বেশ কিছু ব্যবসায়ী গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন বাগানে পৌঁছে আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভিন্‌-রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা না এলে আমের বাজার আরও খারাপ হত। আর এক আম চাষি কালাম মোল্লা জানান, এলাকায় পাকা আম সংরক্ষণের কোনও কেন্দ্র নেই। ফলে, গাছ থেকে পেড়ে দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত লাভজনক দর মেলেনি আমের। আশায় রয়েছি, জামাইষষ্ঠীর দু’এক দিন আগে বাজার যদি কিছুটা ভাল হয়।’’

কেন আমের লাভজনক দর মিলছে না? উদ্যানপালন দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, এ বার আমের ফলন ভাল। সে কারণে ভাল দাম পেতে চাষিদের সমস্যা হচ্ছে। জেলার এক সহ-কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আমের এ বার বেশি ফলনের বছর। কিছুটা দ্রুত আম পেকেছে। আবার চাষিরা অনেকেই দুর্যোগের আশঙ্কায় গাছ থেকে আম প্রচুর পেড়ে নিতে শুরু করেছেন। ফলে, এক সঙ্গে বাজারে চলে এসেছে প্রচুর আম। যে কারণে দাম কিছুটা কম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন