পোস্ট নয় ‘গুজব’, বলছেন ডাক্তারেরা

‘পোস্ট’টি ‘ভাইরাল’ হতেই শোরগোল শুরু হয়। তবে ‘পোস্ট’টি দেখে বর্ধমান মেডিক্যালের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, বুধবার রাতে বৃষ্টির পর বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। বাকিটা ‘গল্প’ই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ‘পোস্ট’-এর জোয়ার বইছে এনআরএস-কাণ্ডের পরে। তার অনেকগুলির বিষয় বর্ধমান মেডিক্যালও। কিন্তু সেখানে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদেরই অভিজ্ঞতা, এমন কিছু ‘পোস্ট’ ‘ভাইরাল’ হচ্ছে, যা বিভ্রান্তি আর উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। আসল পরিস্থিতি বলছে না। সে ধরনের ‘পোস্ট’কে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই পাল্টা ‘পোস্ট’ করেছেন, ‘গুজবে কান দেবেন না’।

Advertisement

বুধবার রাতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় তেমনই একটি ‘পোস্ট’ ‘ভাইরাল’ হয়েছিল। তার বিষয়—বর্ধমান মেডিক্যালের হস্টেলের মহিলা আবাসিকদের ‘অবস্থা’। লেখা হয়েছে ‘আমরা কয়েকজন মেয়ে চুপ করে বসে আছি এই বিল্ডিংয়ের একটা ঘরে, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।... গোটা বাড়ি অন্ধকার... একি এত চিৎকার কেন? কিসের চিৎকার এত, আবার কাঁচ ভাঙার শব্দ না? আবার পাথর পড়ল? এ বার ঘরের মধ্যে...একি ইট পড়ছে, আবার সকালের মত অ্যাসিড ছুড়বে না তো? ওদের হাতে কিসের জার?’ শেষে লেখা রয়েছে, ‘যেটা পড়লেন, সেটা সিনেমার গল্প নয়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি’।

‘পোস্ট’টি ‘ভাইরাল’ হতেই শোরগোল শুরু হয়। তবে ‘পোস্ট’টি দেখে বর্ধমান মেডিক্যালের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, বুধবার রাতে বৃষ্টির পর বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। বাকিটা ‘গল্প’ই। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘পোস্ট’-এর সঙ্গে থাকা ‘ডিপি’টি (ডিজিটাল প্রোফাইল) যাঁর, তিনি কল্যাণীর এক সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ অনুযায়ী, পড়েছেনও সেই হাসপাতালে। এমনকি, ঘটনার সময় তিনি বর্ধমান মেডিক্যালের হস্টেলেও ছিলেন না।

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “ওই পোস্টটি পেয়েছি। পুলিশ রাতভর এলাকায় ছিল। এ রকম ঘটনা ঘটেনি।’’ কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালও বলেন, “ওই পোস্টের জন্যে রাতভর দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা বলা হয়েছে।’’

বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংশ্লিষ্ট মহিলা ডাক্তার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ দিন কথা বলতে রাজি হননি। ফলে, তিনি বিষয়টি লিখেছেন কি না, তা জানা যায়নি। এ দিন দুপুর থেকে তাঁর ‘ফেসবুক পেজ’-এ ওই ‘পোস্ট’টিও দেখা যায়নি। তবে তাঁর এক বন্ধু জানিয়েছেন, সহমর্মিতা জানাতে বর্ধমান হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের অভিজ্ঞতা ওই মহিলা ডাক্তার নিজের ‘প্রোফাইল’-এ হয়তো ‘শেয়ার’ করেছিলেন। সন্ধ্যায় জানা যায়, ওই ডাক্তার কল্যাণীর ‘হস্টেল’ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন