আগুনে আতঙ্ক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

ধোঁয়া দেখে ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে রোগীরা

রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত প্রামাণিক বলেন, “সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল। আতঙ্কে রোগীরা বাইরে চলে এসেছিলেন। দমকল চলে যাওয়ার পরে রোগীদের শয্যায় দিয়ে আসা হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৮ ০০:৫৮
Share:

আতঙ্ক: আগুন লাগার পরে আতঙ্কে জরুরি বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসছেন রোগীরা

ফের আগুন-আতঙ্ক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই কালো ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায় জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড। তা দেখে পড়িমরি ওয়ার্ড থেকে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করে দেন বেশ কয়েক জন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। চিৎকার শুনে হসপাতালের রক্ষী থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা ওয়ার্ডে ছুটে যান। পরে আসেন হাসপাতালের কর্তারা। তাঁরা দেখেন, পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের ভিআইপি ঘর থেকে আগুন ও কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি সামলে দেয়।

Advertisement

হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহার দাবি, “ওই ঘরটি মাস ছয়েক ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ওই ঘরের দেওয়ালে থাকা একটি ফ্যান থেকে আগুন লেগে বিপত্তি হয়েছিল। এর জন্য রোগীদের কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত প্রামাণিক বলেন, “সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল। আতঙ্কে রোগীরা বাইরে চলে এসেছিলেন। দমকল চলে যাওয়ার পরে রোগীদের শয্যায় দিয়ে আসা হয়েছে।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এ দিন বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ বন্ধ ঘর থেকে আচমকা ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। কিছু বোঝার আগেই পুরো ওয়ার্ডই কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। চারিদিক অন্ধকার। ভয় পেয়ে তাঁরা বাইরে ছুটে চলে আসেন। ওই ওয়ার্ডেই পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ভর্তি রয়েছেন মন্তেশ্বরের অনিতা মান্ডি। তাঁর পাশে জখম অবস্থায় রয়েছেন কালনার শান্তি দাস। তাঁদের কথায়, “ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তেই চিকিৎসকেরা বলতে থাকেন ‘আগুন লেগেছে। বাইরে বেরিয়ে যান’। ওই কথা শোনার পরে চোট অবস্থাতেও কোনও রকমে বাইরে চলে যাই।’’ কোমরে চোট নিয়ে ভর্তি থাকা মঙ্গলকোটের সরিফা বিবি থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত ভাতারের মিলন সরকাররা বলছেন, “আগুন, আগুন চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলেই দেখি অন্ধকার। ভয়ে পেয়ে বাইরে চলে আসি।’’

Advertisement

পোড়া ঘর। ছবি: উদিত সিংহ

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওয়ালে থাকা ফ্যানটি অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভেঙে পড়েছে। তারই একটি অংশ ওই ঘরে থাকা একটি যন্ত্রের উপরে গিয়ে পড়ে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় চারিদিক কালো ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। অমিতাভবাবু বলেন, “ওই ঘটনার পরে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে স্বাভাবিক চিকিৎসাও শুরু করা গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন