চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পাঁচ যুবককে। রবিবার রায়নার মাধবডিহি থানার পুলিশ তাদের ধরে। আদালতে তোলা হলে দু’জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকি তিন জনের জেলা হেফাজত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুনে মাধবডিহি থানার কালুই গ্রামের দুই যুবক তাহিরুদ্দিন ও আজিজুল আলিকে রেল ও স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে পনেরো হাজার টাকা নেয় বাপি শেখ ও আরমান মণ্ডল নামে দুই যুবক। স্থানীয় উচালন গ্রামে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েও আসে তারা। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরে গত শনিবার ফের অভিযুক্ত পাঁচ যুবক রায়নার উচালন বাজারের কাছে একটি চালকলে গিয়ে আজিজুল ও তাহিরুদ্দিনকে ডেকে পাঠায় বলে অভিযোগ। তারা এলে কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে বলা হয় চাকরির প্যানেলে নাম উঠেছে। ৬ লক্ষ করে মোট ১২ লক্ষ টাকা দিলেই চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁদের। আপাতত তিন লক্ষ টাকা করে জমা দিতে বলা হয়। তবে আজিজুল ও তাহিরুদ্দিনের ওই কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয়। বাড়িতে টাকা আনতে যাওয়ার নাম করে মাধবডিহি থানায় পৌঁছে পুলিশকে সব জানায় তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে বাপি শেখ, ও আকবর হোসেনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার কাশীপুর গ্রামে। বাকি তিন জন, আরমান মণ্ডল, ফজলুর হক ও অমল বাগদির বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানা এলাকায়।