দুর্ঘটনার পরে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
সকাল সকাল চায়ের দোকানে আড্ডা জমিয়েছিলেন কয়েক জন। আচমকা বিপত্তি। একটা আস্ত কেরোসিনের ট্যাঙ্কার সোজা গিয়ে ধাক্কা মারল দোকানে। ছিটকে পড়েন চার জন। — শনিবার সকালে এমনই একটি দুর্ঘটনা ঘটে ভাতারের আলিনগর এলাকার চৌ-মাথা মোড়ে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ বাদশাহি রোড ধরে একটি কেরোসিনের ট্যাঙ্কার ভাতার থেকে কামারপাড়া যাচ্ছিল। উল্টো দিকে মঙ্গলকোটের নতুনহাট থেকে বর্ধমানের দিকে আসছিল একটি পাথরবোঝাই ডাম্পার। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, আলিনগরের কাছে ট্যাঙ্কার ও ডাম্পারটি পরস্পরকে অতিক্রম করার সময়ে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাঙ্কারটি চায়ের দোকানে ধাক্কা মারে। ঘটনায় চার জন জখম হন। এক জনের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করানো হয়। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। দুর্ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানের সামনের অংশটি।
এই ঘটনার পরেই পথ-নিরাপত্তার দাবিতে আলিনগর মোড় অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াসুদ্দিন শেখ, অমল ভট্টাচার্যদের দাবি, এই এলাকায় প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতেই আলিনগর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরের মুরাতিপুরে এক জন হোটেল কর্মীকে ধাক্কা মারে ট্রাক। ওই ঘটনায় মারা যান আলম মল্লিক নামে ওই হোটেল কর্মী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার পরেও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। শেখ কালো নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘এ দিন আরও বড় বিপদ হতে পারত। রাস্তায় হাম্প তৈরি করা দরকার।’’ কিছুক্ষণ অবরোধের পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশ রাস্তায় হাম্প তৈরি ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।