এই ব্লকে রয়েছে একশোরও বেশি গ্রাম। কিন্তু একটিও ডিগ্রি কলেজ নেই গোটা ব্লকে। এ বার সেই কাঁকসা ব্লকে কলেজ তৈরির জন্য তহবিল সংগ্রহ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হল বৈঠকে।
বাসিন্দারা জানান, কাঁকসায় ডিগ্রি কলেজ তৈরির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে বহু আবেদন করা হয়েছে। বছর খানেক আগে ব্লক প্রশাসন সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকে। সেখানে স্কুলগুলি থেকে প্রতি বছর কত জন করে পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়, তার তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়। বৈঠকে কাঁকসা হাইস্কুলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, কলেজ তৈরির জন্য তাঁরা ১২ বিঘা জমি দিতে পারেন। সম্প্রতি বর্ধমান পূর্বের সাংসাদ সুনীল মণ্ডলের উপস্থিতিতে ফের একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ক্লাবের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। প্রশাসনের সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়, কলেজ তৈরির জন্য ২৫ লাখ টাকার একটি স্থায়ী তহবিল তৈরি করা হবে। বৈঠকের আহ্বায়ক নির্মলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্লকের সকলে মিলেই কলেজ তৈরির জন্য সদর্থক পদক্ষেপ করছেন।’’
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকে ৭০টিরও বেশি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, একশোর উপরে প্রাথমিক স্কুল, ১৮টি হাইস্কুল রয়েছে। রয়েছে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ল কলেজ। কিন্তু স্কুলের গণ্ডী টপকালে অধিকাংশ পড়ুয়ার পক্ষেই আর্থিক কারণে বেসরকারি কলেজে বা মানকর, গলসি, বর্ধমান, বোলপুর, দুর্গাপুরের গিয়ে সরকারি কলেজে পড়াশোনা চালানো সম্ভব হয় না। অনেকে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
বৈঠকের পরে সুনীলবাবু বলেন, ‘‘এখানকার পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েন। এ বার দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’