Government employee

কর্মবিরতিতে আদালত, নানা সরকারি দফতরের কর্মীরাও

সোমবার বর্ধমানের পূর্ত ভবনে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক দফতরের টেবিল খাঁ খাঁ করছে। আট তলা ভবনটিতে রাজ্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৪
Share:

কালনা ও কাটোয়া আদালতে কাজ বন্ধ।। নিজস্ব চিত্র

ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে কর্মবিরতি চলল পূর্ব বর্ধমানের একাধিক আদালতে। জেলা প্রশাসনিক ভবনেও কর্মীদের একাংশ হাজির হন কর্মবিরতিতে। ভাতারের একটি প্রাথমিক স্কুলে আবার পঠনপাঠন বন্ধ রেখে পড়ুয়াদের প্রোজেক্টর চালিয়ে রামায়ণ দেখান শিক্ষকেরা। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ রায়ের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমপরিমাণ ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নির্দেশে কর্মবিরতি করা হয়েছে। মিড-ডে মিল খাওয়ানোর পরে ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হয়।

Advertisement

সোমবার বর্ধমানের পূর্ত ভবনে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক দফতরের টেবিল খাঁ খাঁ করছে। আট তলা ভবনটিতে রাজ্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল বৈদ্যুতিক মণ্ডল কার্যালয়, ক্ষুদ্র সেচ দফতর, ভূমি সংস্কার দফতর, শ্রম দফতরের কর্মীদের সিংহভাগই কাজ করেননি এ দিন। ভাতার থেকে শ্রম দফতরে আসা শেখর সরকার, বর্ধমান শহর থেকে খাজনার কাজে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে আসা মহম্মদ সামিম বলেন, ‘‘সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে এসেই ফিরে যেতে হল। কাজ করার কেউ ছিলেন না।’’ জেলা শিল্পকেন্দ্রে আসা তন্ময় ঘোষ, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে আসা পড়ুয়া শিখা দাসেরাও হয়রানির অভিযোগ তোলেন। জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরেও কর্মচারীদের একাংশ কর্মবিরতিতে সামিল হন। জেলা আদালতে বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি জানান কর্মীদের একাংশ। তাঁদের তরফে অনিল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদানের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সরকার তা মানছে না। মঙ্গলবারও আন্দোলন চলবে।’’

কালনা আদালতে প্রায় ৬০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই আদালতে ঢোকার মুখে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন। একটি মিছিলও করেন তাঁরা। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া সাগরকুমার অধিকারী বলেন, ‘‘মানসিক, শারীরিক নির্যাতনের চেয়ে বড় আর্থিক নির্যাতন। বাজেটে তিন শতাংশ ডিএ দিয়ে আমাদের হাতে লজেন্স ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৯ শতাংশ ডিএ না দেওয়া হলে আন্দোলন চলবে।’’ ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে বলে জানান, আদালতের কর্মী শ্বেতা চট্টোপাধ্যায়। ১২ জুলাই কমিটির কালনা মহকুমার যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে এক জন নীরব খাঁয়ের দাবি, সরকার নানা ভাবে তাঁদের আন্দোলনকে দমাতে চাইলেও তাঁরা অনড়। তবে স্কুলগুলিকে কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।

Advertisement

এ দিনই আবার কর্মবিরতির বিরোধিতা করে এবং কর্মচারীদের তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হয় বর্ধমানের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন, পূর্ত রাজ্য শাখা, পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে মিছিল হয়। সংগঠনের রাজ্য কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘‘কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার মধ্যেও রাজ্যের উন্নয়ন ব্যহত হয়নি। তিন শতাংশ করে মোট ছয় শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিকরা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন