এখানেই হবে নতুন ভবন।—নিজস্ব চিত্র।
ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালে শুরু হয়ে গিয়েছে বিএসসি নার্সিং পাঠ্যক্রমের পড়াশোনা। এ বার আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে নার্সিং কলেজের ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে থেকেই আসানসোলের এই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও নার্সিং কলেজ তৈরির দাবি ওঠে। সম্প্রতি সেই কলেজেরই উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। আপাতত ওই হাসপাতাল চত্বরেই একটি ভবনে আপাতত ৪০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরুও হয়েছে পঠনপাঠন। সম্প্রতি ঠিক হয়, ৮ কোটি টাকা খরচে কলেজ ভবন তৈরি করা হবে। মলয়বাবুর আশ্বাস, ‘‘দ্রুত কলেজ ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।’’ আরও দাবি, বেঙ্গালুরুর পরে আসানসোলেই ইএসআই হাসপাতালে নার্সিং কলেজ তৈরি হচ্ছে। আসানসোলের ইএসআই হাসপাতাল সুপার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, ‘‘ভবিষ্যতে এই কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই পরিকাঠামোরও আরও উন্নতি করতে হবে।’’
মলয়বাবু জানান, এই হাসপাতালেই অত্যাধুনিক চক্ষু বিভাগ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। এখানে চোখের জটিল অস্ত্রোপচারও করা হবে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে প্রশাসনের কর্তাদের আশ্বাস। হাসপাতালের আধিকারিকেরা জানান, ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক ডায়ালিসিস ও ডেন্টাল বিভাগ কাজ শুরু করেছে। প্রশাসনের কর্তারা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আসানসোলের এই হাসপাতালটির উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যেই চিকিৎসা পরিকাঠামো আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক বছর আগে এই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু শিলান্যাসের পরে সেই সব প্রকল্পগুলির কাজ না এগনোয় ইতিমধ্যেই শহরবাসীর একাংশের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। তবে বাবুল বলেন, ‘‘অর্থ মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ হাসপাতাল সুপার আশিসবাবুও জানান, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তদ্বিরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা অনুদান মিলেছে। তবে কী কী খাতে সেই টাকা খরচ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রশাসনের কর্তারা জানান, খরচ কোন খাতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
প্রশাসনের কর্তারা জানান, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হবে। তৈরি হবে বহুতল ভবন। আশিসবাবু জানান, বর্তমানে হাসপাতালের দু’টি বিভাগ মিলিয়ে মোট ২৯ জন চিকিৎসক রয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ২২ জন। এই সংখ্যাও বাড়ানো হবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।