CV Ananda Bose

‘জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে’, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে বললেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস

শুক্রবার রাজ্যপাল তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে শিক্ষা, রুচি এবং এগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজের জীবনের কিছু মজাদার কাহিনি শোনান দর্শকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৮
Share:

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজস্ব চিত্র।

সাধারণ মানুষ কী ভাবে জীবনে সমস্যার সমাধান করেন তা দেখে বাকিদের শিক্ষা নিতে হবে। শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ বারের সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হয়। সাম্মানিক ডিএসসি দেওয়া হয় বিজ্ঞানী শুভাশিস চৌধুরী ও অধ্যাপক সুমনকুমার ধরকে।

Advertisement

রাজ্যপাল বলেন, “জীবন এবং প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। জ্ঞানকে কাজে রূপান্তরিত করতে হবে। জীবনে কী করতে হবে, কী করা যাবে না এবং কখন করতে হবে সেটাই বড় কথা।’’ বাঁধাধরা গতে বক্তৃতা না করে রাজ্যপাল তাঁর নিজের জীবনের কিছু মজাদার কাহিনি শোনান দর্শকদের। সচিব থাকাকালীন সময়ে আদিবাসী জীবনের বাস্তবতা যেমন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, তেমনই তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক সচিব থাকাকালে এক মজার কাহিনির কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথা শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরাও হেসে ওঠেন।

Advertisement

এ বারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নানা মেজাজে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। তিনি প্রবেশ এবং প্রস্থানের সময় সকলকে সম্ভাষণ করেন। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আবার রাজ্যপাল মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সময় অনুষ্ঠানের মাঝপথে আরও এক বার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। তার পরেও অবশ্য বেশ কিছু সময় ধরে অনুষ্ঠান চলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন