গ্রামে স্কুল গড়তে জমি দিলেন বৃদ্ধা

এলাকায় প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক বা উচ্চ প্রাথমিক স্কুল নেই। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। প্রাথমিকের পাঠ শেষে বাইরের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা চালাতে না পেরে অনেকেই মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেয়। সমস্যা মেটাতে গ্রামে একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল গড়তে জমি দান করেছেন কাঁকসার সুন্দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা কনকলতা ঘোষ। তিনি জানান, নিজের অংশের সতেরো শতক জমি তুলে দিয়েছেন প্রশাসনের হাতে। এ বার সেই জমিতে স্কুল গড়তে উদ্যোগী হোক প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২৩
Share:

এলাকায় প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক বা উচ্চ প্রাথমিক স্কুল নেই। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। প্রাথমিকের পাঠ শেষে বাইরের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা চালাতে না পেরে অনেকেই মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেয়। সমস্যা মেটাতে গ্রামে একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল গড়তে জমি দান করেছেন কাঁকসার সুন্দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা কনকলতা ঘোষ। তিনি জানান, নিজের অংশের সতেরো শতক জমি তুলে দিয়েছেন প্রশাসনের হাতে। এ বার সেই জমিতে স্কুল গড়তে উদ্যোগী হোক প্রশাসন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের সুন্দিয়ারা গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকের পাঠ শেষ হলেই বিপাকে পড়ে পড়ুয়ারা। কারণ, সব থেকে কাছে হাইস্কুল রয়েছে ত্রিলোকচন্দ্রপুরে। দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। বাসিন্দারা জানান, এলাকায় আপাতত একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল চালু হলে সমস্যা অনেকটা মেটে। সেক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ গ্রামে বসেই পাবে পড়ুয়ারা। তত দিনে তারা আরও খানিকটা বড় হয়ে যাবে। ফলে, ত্রিলোকচন্দ্রপুরের হাইস্কুলে পড়াশোনা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সে ভাবে সমস্যায় পড়বে না। স্কুল গড়তে জমি পাওয়া বহু জায়গাতেই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সে কথা মাথায় রেখে বাসিন্দাদের একাংশ গ্রামের প্রবীণা কনকলতাদেবীর কাছে জমি দানের আর্জি জানান। কনকলতাদেবী বলেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েরা গ্রামেই পড়াশোনা করুক, আমিও তাই চাই। সে জন্য আমি সতেরো শতক জমি দানপত্র করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি।” তাঁর ছেলে, অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গোপালবাবু বলেন, “মায়ের এমন উদ্যোগে আমরা গর্বিত। আশা করি দ্রুত গ্রামে উচ্চ প্রাথমিক স্কুল গড়ে উঠবে।”

দান করা জমিতে অবিলম্বে উচ্চ প্রাথমিক স্কুল তৈরির আর্জি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ হাঁসদা, জ্যোতি বাস্কে, সুলেখা বেসরারা জানান, স্কুল গড়ে উঠলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা ঘুচবে। তাঁরা জানান, এলাকার অধিকাংশ আদিবাসী পরিবার আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর। বাইরের স্কুলে পড়াশোনা করানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। গ্রামে স্কুল হলে সেই সমস্যা মেটে। তাঁরা বলেন, “কনকলতাদেবী জমি দেওয়ায় স্কুল গড়তে জমি পাওয়া নিয়ে সমস্যা রইল না। এ বার প্রশাসন এগিয়ে এলেই হবে।” কাঁকসার জেলা পরিষদ সদস্য দেবদাস বক্সী এ ব্যাপারে উদোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ওই গ্রামে দ্রুত একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল তৈরির আর্জি জানাবেন বলে জানান তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন