কাউন্সিলরের ঘরে ঢুকে হামলা

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ০১:২৮
Share:

নিত্যানন্দবাবুর ঘরে গোলমালের পরে। —নিজস্ব চিত্র।

পুরসভায় ঢুকে কাউন্সিলরের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠল এলাকারই কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গুসকরা পুরসভার ঘটনা। পরে পুরসভার তরফে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ গুসকরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাচাঁদা থেকে ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক কাজের দাবি নিয়ে কয়েকজন যুবক পুরসভায় আসেন। পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায় তাঁদের পুরসভার পূর্ত দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে বলেন। সেইমতো নিত্যানন্দবাবুর নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে কথা বলেন ওই যুবকেরা। অভিযোগ, কথার মাঝেই নিত্যানন্দবাবুর সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁদের। নিত্যানন্দবাবুকে নিগ্রহ করে ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী, নিত্যানন্দবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে নিগৃহীত হন এক মহিলা-সহ কয়েকজন কাউন্সিলর। নিত্যানন্দবাবুর দাবি, “এক ঠিকাদারের নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী পুরসভায় আমার ঘরে ঢুকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কাজের জন্য বলেন। পুরসভার নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা করার কথা বলতেই তাঁরা আমার উপর চড়াও হয়। ঘরের চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়, কম্পিউটার ভাঙচুর করে। ওদের হাতে রিভলভার ছিল। আমাকে বাঁচাতে এলে কাউন্সিলার রত্না গোস্বামীকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।’’

পুরপ্রধানও বলেন, “ওই ওয়ার্ডে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ইদগাহ তৈরি করা হয়েছে। তার পরেও সেখানে আরও লাখ পাঁচেক টাকার কাজের দাবি জানানো হয়েছে। বিষয়টি পুরবোর্ডে আলোচনা করে করা হবে জানানোর পরেও তাঁরা তখনই কাজের বরাত দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এ নিয়ে গোলমাল পরে হামলা হয়।’’ তবে পুরসভার কর্মীরা প্রতিরোধ করলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায় বলেও তাঁর দাবি।

Advertisement

যদিও এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাচাঁদার বাসিন্দা শেখ খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এলাকার উন্নয়নের জন্য পুরসভায় গেলে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় দুর্ব্যবহার করেন ও এলাকার ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করেন।’’ ঘটনার কথা এলাকার বিধায়ককে জানানো হবে বলেও জানান তিনি। ঘটনার পর পুরসভায় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ আসে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরসভা থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন