প্রহৃত যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
ঠান্ডা পানীয়ের দাম নিয়ে বচসার জেরে রবিবার পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের কাটোয়া স্টেশনে এক হকারের হাতে যাত্রীর প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্ত হকারকে গ্রেফতারও করে রেল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সালার থানার মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মুর্শেদ শেখ ও তাঁর বোন রবিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক আত্মীয়কে দেখতে আসেন। এ দিন দুপুরে কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ লোকাল ধরে বাড়ি ফেরার পথে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মহাদেব দাস নামে এক হকারের হকারের কাছ থেকে ঠান্ডা পানীয় কিনতে যান মুর্শেদ। তাঁর অভিযোগ, পানীয়ের দাম মেটাতে ওই হকারকে ১০০ টাকা দিয়েছিলাম। মহাদেববাবু ৪০ টাকা কেটে নিয়ে ৬০ টাকা ফেরত দেন। মুর্শেদবাবু জানান, তিনি ৫ টাকা বেশি কেন নিচ্ছেন প্রশ্ন করলে ওই হকার জানান বরফের কারণে অতিরিক্ত টাকা লাগবে। মুর্শেদ তার প্রতিবাদ করলে ওই হকার লোহার রড হাতে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। পেশায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি কলেজের কম্পিউটার শিক্ষক মুর্শেদেকে আরও কয়েকজন হকার এবং মহাদববাবুর ছেলে দেবা দাস মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে আহত মুর্শেদকে রেল পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দিন বিকেলে মুর্শেদ মহাদেব দাস ও দেবা দাসের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে মাধাইপুর থেকে কাটোয়াতে চলে আসেন মুর্শেদের বাবা শেখ নূর আলম। শেখ নূর আলমের আশঙ্কা, “ঘটনার সময় রেল পুলিশ না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর দিকে যেতে পারত।” রেল পুলিশ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মে টহলরত কয়েকজন পুলিশ কর্মী আচমকা দেখেন, কয়েকজন হকার মিলে এক যাত্রীর উপর চড়াও হয়েছে। দেবা দাস ওই যাত্রীর গলা চেপে ধরেন বলেও পুলিশের দাবি। রেল পুলিশের কাটোয়া শাখার ওসি অভিজিত্ দাস বলেন, “আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাঁচ টাকা দাম বেশি দাম নেওয়ার কথা স্বীকার করেও অভিযুক্ত হকার মহাদেব দাসের অবশ্য দাবি, “দাম নিয়ে বচসার সময় ওই যাত্রীই প্রথমে আমাকে চড় মারেন।”